সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। চার ভাগের এক ভাগ দখলে রেখে এখনো ‘সরকার’ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, আরাকানের যে অবস্থা তাতে সেখানে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, রাখাইনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ বিষয়টি ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, আরাকান আর্মির অনেকে এখানে বিয়ে করে ফেলছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না
রাখাইন অঞ্চলে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, এই অঞ্চলের ভূরাজনীতি তত বেশি জটিল হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানবসম্পদ বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছি, বিশেষ করে আমাদের কনস্যুলার পদগুলোতে। আশা করছি এই প্রচেষ্টায় অন্তত আংশিক সাফল্য পাব।’
মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে চায় বা ফেরত নেয়ার যোগ্য মনে করে বলে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে—তাতে এখনই আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ২৫ মার্চ তাদের হাতে আটক হন আরেক জেলে।
‘আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
প্রতিবেদন মতে, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করলে একটি উদীয়মান আধা-রাষ্ট্র (পুরোপুরি সার্বভৌম নয় এমন) সৃষ্টি হবে এবং এ রাজ্যের বাসিন্দারা মানবিক সংকটে পড়বে।
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি।
বিবিসি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে, সেনা কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে এসে অপেক্ষাকৃত তরুণ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, টানা তিন দিন লড়াইয়ের পর গত সোমবার আরাকান আর্মির সদস্যরা কাচিন রাজ্যে মানদালায়-মিটকিনিয়া সড়কে সেনাবাহিনীর একটি কৌশলগত ঘাঁটি অবরোধ করে।
‘বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
‘তাদের মধ্যে ১৫ জন সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মিয়ানমারে ইতোমধ্যে চীন ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কিছু সামরিক ঘাঁটি ও বাণিজ্য রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'সরকার যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই কাউকে ভয় করি না।'
বাংলাদেশে মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের জন্য আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে মিয়ানমার।