আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

নেদারল্যান্ডসকে নাগালের মধ্যে আটকে দায়িত্ব এখন ব্যাটারদের

বাংলাদেশের চার বোলার পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। তবে সবচেয়ে নজরকাড়া ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

কলকাতা

নেদারল্যান্ডসকে নাগালের মধ্যে আটকে দায়িত্ব এখন ব্যাটারদের

প্রবল চাপে থাকা অবস্থায় দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলেন বাংলাদেশের পেসাররা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করলেন আঁটসাঁট বোলিং। ফিল্ডিংয়ে হাত ফসকে তিন ক্যাচ বেরুলেও তাই নেদারল্যান্ডসকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ।

শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৫০ ওভারে ২২৯ রানে গুটিয়ে গেছে নেদারল্যান্ডস। শেখ মেহেদীর শেষ ওভারে ১৭ রান না এলে অবশ্য তাদের লড়াই আরও সাদামাটা হতো। ফিল্ডিং ভালো হলে এই রান দুশোর মধ্যেও থাকতে পারত। শূন্য রানে দুবার জীবন পেয়ে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস দলের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ৬৮ রান। তার ইনিংস লম্বা সময় গলার কাঁটা হয়েছিল সাকিবদের কাছে। 

বাংলাদেশের চার বোলার পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। তবে সবচেয়ে নজরকাড়া ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি। তার বলে তিনটা ক্যাচ না ফসকালে আরও ফিগার হতে পারত দুর্দান্ত। 

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পেসাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। ডাচদের বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই তাদের জ্বলে উঠার প্রতীক্ষায় ছিলো দল। এদিন বল হাতে নিয়ে শুরুতেই জ্বলে উঠেন তারা। তাসকিন আহমেদ নিজের দ্বিতীয় ওভারে গতির তারতম্যে ক্যাচ বানান বিক্রমজিত সিংকে। পরের ওভারে বাড়তি লাফানো বলে ম্যাক্স ও'ডাউডকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি থেকে প্রতিরোধ আসে ওয়েসলি বারেসি আর কলিন অ্যাকারম্যানের ব্যাট থেকে। জুটি জমে বিপদের কারণ হয়নি বটে।  ৫৯ রানের জুটি বিপদজনক হওয়ার আগেই ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। বারেসি খেলছিলেন আগ্রাসী মেজাজে, দ্রুত রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি।

মোস্তাফিজের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ৪১ বলে ৪১ করে ধরা দেন সাকিবের হাতে। খানিক পর সাকিবের বলে সুইপের চেষ্টায় সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আকারম্যানও। এক ওভার পর স্কট এডওয়ার্ডসকে দুবার আউটের সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বলে গালিতে তীব্র গতিতে যাওয়া ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন দাস, পরের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কিপার মুশফকির রহিম গ্লাভসে জমাতে পারেননি বল।

শূন্য রানে টানা দুবার জীবন পেয়ে এডওয়ার্ডস জমে যান ক্রিজে। বাস ডি লিডির সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। তাসকিন এসে বাড়তি বাউন্সে ডি লিডিকে ফেরালেও সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গে আরেক জুটি পেয়ে যান ডাচ অধিনায়ক।

জুটিতে রান তোলার গতি মন্থর হলেও দলকে ভদ্রস্থ জায়গার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তারা।  মোস্তাফিজের বলে এঙ্গেলব্রেখট ক্যাচ উঠালেও মেহেদী হাসান মিরাজ তা ছেড়ে দেন। ২৯ রানে জীবন পেয়ে যদিও বেশি দূর বাড়তে পারেনি। শেখ মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউতে ফেরেন তিনি।

তার আগে এডওয়ার্ডসের মূল্যবান উইকেট পেয়ে যান মোস্তাফিজ। ৮৯ বলে ৬৮ করে তিনি ফেরার পর ভাটার টান পড়ে ডাচদের ইনিংসে। শেষ দিকে লোগান ফন বিক ১৬ বলে ২৩ করলে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় ডাচরা।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago