বিমান বিধ্বস্ত: ‘কী ঘটছে বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ল’

মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আহত শিক্ষক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষক বলেছেন, 'ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক ছিল যে কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ ছিল না।'

বিমানটি যে ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে, সেই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীরা ছুটির ঘণ্টা পড়ার পর ক্লাস থেকে বের হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।

ওই শিক্ষক বলেন, 'এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল। কী ঘটছে তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসলো। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম—তারপর ধোঁয়া।'

নিজের আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে শিক্ষক বলেন, 'আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে।'

এ অবস্থায় ওই শিক্ষক দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন। তিনি বলেন, 'কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।'

ওই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের ভেতর গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচ-এর বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

শিক্ষক বলেন, 'ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া উঠে গিয়েছিল। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।'

বিমান আছড়ে পড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান ওই শিক্ষক।

কথা বলার সময় ওই শিক্ষকের কণ্ঠ কাঁপছিল। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য।

Comments

The Daily Star  | English

Cops charge batons, fire tear shells as students enter Secretariat

40 of the injured were brought to Dhaka Medical College Hospital

2h ago