তবুও নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাটলার
বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে। বিশেষকরে তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং লাইনআপের কারণে। ফেভারিট তালিকায় শীর্ষেই ছিলেন তারা। সেখানে হতশ্রী ব্যাটিংয়ে একের পর এক হারে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত দলটির। ফলে প্রশ্ন উঠেছে জস বাটলারের নেতৃত্ব নিয়ে। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবছেন না ইংলিশ অধিনায়ক। নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।
গাণিতিকভাবে অবশ্য এখনও বিশ্বকাপে টিকে আছে ইংল্যান্ড। তবে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে কার্যত বিশ্বকাপ যে শেষ হয়ে গিয়েছে তা ভালো করেই জানেন বাটলাররা। নাটকীয় কিছু না ঘটলে শেষ চার ম্যাচে জিতলেও কাজ হবে না। আগের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল হারেই এক অর্থে সব শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের।
বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। অথচ এই মাঠের পিচে বোলারদের জন্য বিশেষ কোনো সাহায্য থাকে না। ব্যাটাররাই ছড়ি ঘোরান। তবে শুধু এই ম্যাচেই নয়, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। আর অপেক্ষাকৃত দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে করতে পারে ২১৫ রান।
এছাড়া দলের তেমন কোনো ব্যাটারই ছন্দে নেই। ছন্দে নেই অধিনায়ক বাটলারও। পাঁচ ম্যাচে তার সংগ্রহ মোটে ৯৫ রান। নিজেদের পারফরম্যান্সে বিস্মিত হলেও নেতৃত্ব ছাড়বেন না বলেই জানান বাটলার, 'একজন অধিনায়ক, একজন নেতা হিসেবে আমার নিজের ওপর অনেক আস্থা ও বিশ্বাস আছে, একজন খেলোয়াড় হিসেবেও তাই।'
'সবসময় প্রশ্ন করছেন যে, কীভাবে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারি এবং দলকে সঠিক পথে নিতে পারি। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন যে, আমার এখনও দলের অধিনায়ক থাকা উচিত কি-না, প্রশ্নটা আমার চেয়ে ছেলেদের কাছে করাটা গুরুত্বপূর্ণ,' যোগ করেন বাটলার।
অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে চাইছেন কি-না প্রশ্নে বাটলারের সাবলীল উত্তর, 'হ্যাঁ।'
শেষ চারটি ম্যাচ নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় দেখিয়ে বললেন, 'মনে হচ্ছে, অলৌকিক কিছুর প্রয়োজন হতে পারে। টুর্নামেন্টে আরও এগিয়ে যেতে আমাদের প্রতিটি ম্যাচে জিততে হবে এবং কিছু বিষয় আমাদের পক্ষে যেতে হবে। আমাদের যে ম্যাচগুলো বাকি আছে, সেখানে আমরা সেই ক্রিকেট খেলতে চাই, যেটা আমরা জানি যে আমরা খেলতে পারি।'
Comments