কোপায় আগের পাঁচটি সেমির চারটিতেই জ্বলে উঠেছিলেন মেসি
ষষ্ঠবারের মতো কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে খেলবেন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এই প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলা আগের পাঁচটি শেষ চারের ম্যাচের চারটিতেই উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। কেবল একবারই গোল বা অ্যাসিস্ট করে কোনো অবদান রাখতে পারেননি। সেবার আর্জেন্টাইনদেরও বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল সেমি থেকে। ওই একবার ছাড়া বাকি চারবারই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দলটি।
আগামী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট রাদারফোর্ডে এবারের কোপার প্রথম সেমিতে কানাডার মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায়। সব মানদণ্ডের বিচারেই এই লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পাল্লা ভারী মেসিদের পক্ষে। আর চলতি আসরের গ্রুপ পর্বে এই দুই দলের সাক্ষাত থেকেও আলবিসেলস্তেরা নিতে পারে প্রেরণা। সেদিন ২-০ গোলে জিতে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে শুভ সূচনা করেছিল কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১ সালের কোপার সেমিতে খেলেছেন লা পুলগা। চারবার শেষ চারের বাধা পেরিয়ে ফাইনালে উঠলেও স্রেফ একবারই শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের উল্লাস করার সুযোগ হয়েছিল তার। সবশেষ কোপায় ব্রাজিলকে তাদের মাটিতে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এতে অবসান ঘটেছিল দলটির ২৮ বছরের দীর্ঘ শিরোপাখরার।
কোপায় এখন পর্যন্ত পাঁচবার সেমিফাইনাল খেলে দাপুটে পারফরম্যান্সে মেসি মোট ২ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন। উরুগুয়েকে টপকে এককভাবে এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল (দুই দল যৌথ সর্বোচ্চ ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে) হওয়ার অভিযানে আরও একবার আর্জেন্টিনা চেয়ে থাকবে তার দিকে।
২০০৭: প্রতিপক্ষ মেক্সিকো
২০০৭ সালের কোপার সেমিতে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৬১তম মিনিটে কার্লোস তেভেজের পাসে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন মেসি।
২০১৫: প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে
সেবার প্যারাগুয়েকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। তিনটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন দি'অর জয়ী মেসি। ১৫তম মিনিটে তার ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন মার্কোস রোহো। এরপর ২৭তম মিনিটে হাভিয়ের পাস্তোরের গোলে বলের যোগানদাতা ছিলেন তিনি। আর ৮৩তম মেসির অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়েছিল গঞ্জালো হিগুয়াইন জাল কাঁপানোয়।
২০১৬: প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র
কোপা আমেরিকার শততম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আসরের শেষ চারে ৪-০ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩১তম মিনিটে অসাধারণ ফ্রি-কিকে নিশানা ভেদ করেছিলেন মেসি। পাশাপাশি তৃতীয় মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজ্জিকে ও ৮৬তম মিনিটে হিগুয়াইনকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি।
২০১৯: প্রতিপক্ষ ব্রাজিল
ওইবার সেমিফাইনালে মেসি গোল বা অ্যাসিস্ট কোনো কিছুই করতে পারেননি। আর্জেন্টিনাও শেষমেশ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল ২-০ গোলে।
২০২১: প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া
গত কোপায় ফাইনালে ওঠার পথে আর্জেন্টিনার বাধা ছিল কলম্বিয়া। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের নৈপুণ্যে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। মূল ম্যাচে মেসির পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ।
Comments