রাসেল-ডেভিডদের উড়িয়ে এনে একশো রানও করতে পারল না রংপুর
দুবাই থেকে তড়িঘড়ি করে আন্দ্র রাসেল, টিম ডেভিড, জেমস ভিন্সকে উড়িয়ে এনেছিল রংপুর রাইডার্স। এই তারকারা বিশ্রাম না নিয়েই খেলতে নেমে হয়েছেন চরম ব্যর্থ। বিশ্ব মাতানো তারকাদের নিয়ে ব্যাটিং ধসে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে রংপুর।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর ম্যাচে আগে ব্যাটিং বেছে মাত্র ৮৫ রানে শেষ হয়ে যায় রংপুরের ইনিংস। ম্যাচ জিততে খুলনা টাইগার্সের লক্ষ্যটা তাই মামুলি।
রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত দুবাইতে আইএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচ খেলছিলেন রাসেল ও হোল্ডার। দুই ক্যারিবিয়ান তারকা খেলায় হেরেই ধরেন বিমান। সকালে তারা নামেন ঢাকায়। রাসেল রংপুরে, আর হোল্ডার যোগ দেন খুলনায়। রাসেলের সঙ্গে দুবাই থেকে রংপুরে খেলতে আসেন ভিন্স, ডেভিড। হেটমায়ার আসেন খুলনায়। রাসেল, ভিন্স আর ডেভিড মিলে করতে পেরেছেন মোটে ১২ রান।
রংপুরের পুরো স্কোরকার্ড দেখায় টেলিফোন ডিজিটের মতন। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছন দশ নম্বরে নামা আকিফ জাভেদ! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নুরুল হাসান সোহানের ২৩। এই দুজন ছাড়া বাকি সবাই ফেরেন এক অঙ্কে।
প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। ভিন্স স্ট্রাইক নিয়ে শুরু করেছিলেন। তার ভুল কলে রান আউটে বিদায় কোন বল না খেলা সৌম্য সরকারের। সতীর্থকে আউট করে নিজেও কিছু করতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটার। ৭ বলে ১ রান করে নাসুম আহমেদের বলে তিনি তুলে দেন সহজ ক্যাচ।
ব্যাটিং অর্ডারে এরপর অদ্ভুত উলটপালট দেখা যায় রংপুরের। শেখ মেহেদী হাসান চার ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নামেন পাঁচে। দুজনেই হন ব্যর্থ। দলের চরম ব্যর্থতায় হাল ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। প্রথম দশ জনের মধ্যে তিনিই একমাত্র দুই অঙ্কের ঘরে রান পান। নবম ব্যাটার হিসেবে সোহান ফেরেন ২৫ বলে ২৩ রান করে।
তার আগে ডেভিড, রাসেলদের হারায় রংপুর। সাতে নেমেছিলেন ডেভিড। ৯ বল ৭ রান করে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেমরন হেটমায়ারের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। আটে নামা রাসেল ক্রিজে আসেন দ্বাদশ ওভারে। তার জন্য এসব ফেইজ আদর্শ নয়। টিকে থাকবেন না মারবেন এমন দ্বিধায় পড়ে যান বিস্ফোরক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নাওয়াজকে তুলে মারতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ।
৫২ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর সবচেয়ে বড় জুটি পায় রংপুর। নাহিদ রানাকে একা পাশে রেখে ৩৩ রান যোগ করেন আকিফ।
Comments