‘ওদের মাথায় কী চলছিল ওরাই জানে’

সিলেটের উইকেট ব্যাট করার জন্য একদম আদর্শ। উইকেট ভালো হওয়ায় দুইশো রান তাড়া করাও বেশ সম্ভব। কিন্তু মাঝের ওভারে দুই বিদেশি জর্জ মানসি ও অ্যারন জোন্সের মন্থর ব্যাটিংয়ে রান তাড়ার হিসেব চলে যায় নাগালের বাইরে। সেটা পরে জাকের আলি অনিক নেমে আগ্রাসী খেলেও মেলাতে পারেননি। এই ব্যাটারও বুঝতে পারছেন না কী চলছিল দুই বিদেশি ব্যাটারের মাথায়।

চিটাগাং কিসের ২০৩ রান টপকাতে গিয়ে  ১৭৩ রানে আটকে ৩০ রানে হারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। একাদশ ওভারে ক্রিজে গিয়ে জাকের ২৩ বলে ৪৭ করে অপরাজিত থাকলেও আর বল বাকি ছিলো না।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছন্দ দেখানো এই ব্যাটার বলেন তিনি ক্রিজে যাওয়ার আগেই সমীকরণ নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিলো, 'হ্যাঁ, একটু আউট অব রিচ হয়ে গেছে। তখন তো অলমোস্ট ১৫তে (আস্কিং রানরেট) চলে গেছে। আসলে টপ অর্ডার থেকে আরেকটু এক্সালেরেট করে খেলতে পারলে হয়তো ভালো হতো। প্রতিদিন তো টপ অর্ডাররা ভালো করছে, একটা দিন হয়তো তারা পারেনি।'

পাওয়ার প্লেতে এদিন ৩ উইকেটে ৪৬ রান তুলে সিলেট। এরপর সপ্তম ওভার থেকে একাদশ ওভার অবধি বেশ মন্থর খেলে তারা। ক্রিজে ছিলেন মানসি ও জোন্স। দুজনেই বড় শটে পারদর্শী হলেও এই ধাপে তারা কেবল একটাই বাউন্ডারি মারেন, জোন্স ১৮ বল খেলে করেন ১৫ রান। দুজনের মধ্যেই শট খেলার তাড়না খুব একটা ছিলো না।

তাদের এমন মন্থর ব্যাটিংয়ের মানে বুঝতে পারছেন না জাকেরও,  'সেটাই, আমি আসতে আসতে কথা বলছিলাম (সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে মিডিয়া ম্যানেজারকে) যে এটা ওদের মনে কী চলছিল ওরাই জানে। আমরা ওটাই বলছিলাম, আলোচনা করছিলাম একটু শর্ট হয়ে গেছে। ওই জায়গায়টায় যদি ১০-১৫ রান বেশি আসতো, তাহলে অলমোস্ট তো চলেই এসেছিল।' 

Comments

The Daily Star  | English

Touhid, Jaishankar for working on bilateral challenges

Border-related issues to be discussed, resolved during BGB-BSF talks in Delhi

5h ago