শুরুতেই একটানা এত ম্যাচ কেন রংপুরের?

Alex Hales
সিলেটের মাঠে ফিল্ডিং করছেন ইংলিশ তারকা আলেক্স হেলস। বিপিএলে এবার ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত হেলসের সঙ্গে চুক্তি রংপুর রাইডার্সের।

খুলনা টাইগার্স, চিটাগাং কিংস তিন ম্যাচ খেলার আগেই রংপুর রাইডার্স খেলে ফেলেছে ছয় ম্যাচ। বিপিএলের সূচির এই ভারসাম্যহীনতা যে কারো নজর কাড়বে। অবশ্য এমন ভারসাম্যহীন সূচি বিপিএলে ইতিহাসে এবারই নতুন না। 

বিপিএলে ঢাকায় প্রথম ধাপে হয় চারটি ম্যাচ ডে। ওই চার দিনের মধ্যে তিনদিনই ছিলো রংপুরের খেলা। সিলেট পর্বে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হয়েছে তিনটি ম্যাচ ডে, এর সবগুলোতেই ছিলো রংপুরের ম্যাচ।

টানা ম্যাচের সঙ্গে জয়ের রথ চলছে দলটির। প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ষ্ঠ ম্যাচে তারা মুখোমুখি ফরচুন বরিশালের। রংপুরের পরই সাত ম্যাচ ডেতে পাঁচদিন খেলা পড়েছে বরিশালের। এবার বিপিএলে এই দুই দলই খাতায় কলমে টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল, মাঠের পারফরম্যান্সেও তারাই এগিয়ে।

খাতায় কলমে সেরা হওয়ার কারণ দেশিদের সঙ্গে মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়ের উপস্থিতি। তবে এই উপস্থিতি আসরের পুরোটা জুড়েই থাকবে এমন নয়। যেমন রংপুর রাইডার্সের হয়ে এবার ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার চুক্তি করেন ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। এরপর তিনি আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে চলে যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বরিশালের ক্যারিবিয়ান তারকা কাইল মেয়ার্সেরও চুক্তি একইরকম। অর্থাৎ আজই আপাতত বিপিএলে তার শেষ ম্যাচ। এরপর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি খেলতে চলে যাবেন। শাহীন শাহ আফ্রিদিও কাছাকাছি সময়ে ফিরে যাবেন। 

শুরুতে এই দুই দলের ম্যাচ বেশি রাখার পেছনে এসব তারকার এভেইলেবিলিটির যোগসূত্র খোঁজার ভিত্তি আছে। শুরুতেই তাদের ম্যাচ বেশি দেওয়ার কারণ, যাতে করে বিদেশি এসব তারকাদের সুবিধা পুরোটা কাজে লাগাতে পারে এই দলগুলো। এই যোগসূত্রে আরও ভিত্তি দেয় হেলস, মেয়ার্সরা চলে যাওয়ার পর রংপুর, বরিশালের সূচিতে কিছুটা বিরতি পড়া।

বাংলাদেশের ফ্যাঞ্চাইজি এই টি-টোয়েন্টি আসর আয়োজন করা হয় এমন এক উইন্ডোতে যেখানে কাছাকাছি সময়ে বিশ্বজুড়ে চলে আরও কিছু লিগ। এবার পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) না থাকায় রক্ষা, কিন্তু এসএ টি-টোয়েন্টি ও আইএল টি-টোয়েন্টির উইন্ডোর অসুবিধা ভোগ করতেই হয় বিপিএলকে। আইএল টি-টোয়েন্টি ও এসএ টি-টোয়েন্টির দলগুলোর মালিকানায় অংশিদারিত্ব আছে আইপিএলের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির। অর্থনৈতিক ভিত্তি ও পেশাদারিত্ব সেখানে বেশি। বিদেশি খেলোয়াড়রা ওসব লিগে সুযোগ পেলে তাই সেটাই আগে গ্রহণ করেন, ওই লিগগুলো শুরুর আগে-পরে ফাঁক বের করে খেলে নেন বিপিএলের কিছু ম্যাচও।

অর্থাৎ তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও জোর দেওয়া হয় বিপিএলের সূচিতে। কাজেই সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি এখানে সূচির দিক থেকে সমান সুবিধা পায় বলে মনে করার কোন কারণ নেই। টুর্নামেন্টের প্রতিন্দ্বিতার আমেজ এতে যে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

8h ago