বিশ্বের শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্নের কথা জানালেন তাসকিন

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ গত কিছু দিন ধরে পাচ্ছে সাফল্যের দেখা। ওয়ানডে ক্রিকেটে পায়ের নিচে ভিত খুঁজে পাওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও লেগেছে ইতিবাচক বদলের হাওয়া। এখনো প্রত্যাশার চেয়ে অবস্থান বেশ দূরে হলেও অনেক বড় স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেটাররা। পেসার তাসকিন আহমেদ জানালেন, বিশ্বের একদম শীর্ষ দল হতে চান তারা, সেই স্বপ্ন বুনছেন। এগিয়ে যেতে অনুসরণ করছেন প্রক্রিয়া।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত সেরা হওয়ার দাবি জানাতে পারেনি বাংলাদেশ। আইসিসি আসরগুলোতে সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা। এশিয়া কাপে একাধিকবার ফাইনাল খেললেও কখনো কাপ জেতা হয়নি। আয়ারল্যান্ডে ২০১৯ সালে একটি ত্রিদেশীয় আসরের ট্রফি ছাড়া বাংলাদেশের কোন রকম বড় আসরেই নেই কোন ট্রফি।টেস্ট তো তলানির অবস্থান থেকে বের হওয়া যায়নি সেভাবে।

এসব বাস্তবতা মানলেও বড় স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়? আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার পর অনেক দূরে, অনেক উচ্চতায় তাকালেন তাসকিন,  'ওটা (পরিপক্বতা) মিসিং ছিল বলেই ওখান থেকে শিখে ভালো কিছু দেখাতে পারছি। সামনে আরও ভালো কিছু দেখাব ইনশাল্লাহ। ক্রমে আমরা প্রক্রিয়া অনুযায়ী উন্নতি করছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভুলগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভুলগুলো কিন্তু কমে আসছে যে কোনো ফরম্যাটে। তার মানে আমরা ভুল থেকে শিখছি, প্রক্রিয়াটা দারুণ যাচ্ছে এবং আমরাও শিখতে আগ্রহী।'

'আমাদের স্বপ্ন আমরা বিশ্বের শীর্ষ দল হব, সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা ক্রিকেট খেলছি এবং এগোচ্ছি। আন্তে আস্তে মাঠেও দৃশ্যমান হচ্ছে। যদি এইভাবে ধারাবাহিকতা থাকে, সামনে অনেক বড় বড় ইভেন্ট আছে, ওসবেও প্রতিফলন পড়বে ইনশাল্লাহ।'

গত দুই বছরে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলোতে বাংলাদেশে সাফল্যের অন্যতম কারিগর পেসাররা। একসঙ্গে উঠে আসা কয়েকজন পেসারই আছেন ছন্দে। তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদদের ঝলকে বরং পেছনে পড়ে আছেন মোস্তাফিজুর রহমানই। তাসকিন মনে করছেন বিশ্বমানের পেসার হয়ে প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব তৈরি করবেন তারা। এগুবেন ধাপে ধাপে,  'সবাই সবার দিক থেকে চেষ্টা করছে। ইউনিট হিসেবে যদি সবাই বিশ্বমানের বোলার থাকি, এই ইউনিটকে সামলাতে কিন্তু অন্যদের সমস্যাই হবে। বড় বড় দলে কিন্তু একটা নয়, চার-পাঁচটা বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার থাকে। আমরাও চাচ্ছি, আমাদেরও এরকম হোক। যেহেতু আমরা সবাই পরিবারের অংশ, ফাস্ট বোলাররা, ভাইয়ের মতো। সবাই সবার ভালো চাই এবং সবশেষ দুই-আড়াই বছরে উন্নতিও চোখে পড়ছে।'

'এখনও আমাদের পরের ধাপে যাওয়া বাকি। আমি মনে করি আমরা সঠিক পথে আছি। মানসিকতা ভালো। যদি এই প্রক্রিয়ায় থাকি, আমাদের এই স্বপ্নও পূরণ হবে যে আমরা সবাই বিশ্বমানের হব।'

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago