‘ভাগ্যের লিখনে’ অনিশ্চয়তার পরও যে ভাবনায় তাসকিন দলে

তাসকিন আহমেদ
অনুশীলন সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাসকিন আহমেদ। ছবি: একুশ তাপাদার

তাসকিন আহমেদকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়েছে বটে, করা হয়েছে সহ-অধিনায়কও। তবে বিশ্বকাপে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নন খোদ প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার চোটে পড়ার ঘটনাকে ভাগ্যের লিখন বলেও ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে সাইড স্ট্রেনের চোটে পড়েন তাসকিন। তার চোটের কারণেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় দোলাচল। স্ক্যান করানোর পর তাকে রেখেই দেওয়া হলো বিশ্বকাপ দল। দলে থাকার পাশাপাশি সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি।

দল ঘোষণার পর তাসকিনকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক জানান, আইসিসির নতুন নিয়মে চোটে থাকা একজন খেলোয়াড় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখতে পারবে দলগুলো। সেই সু্যোগই নিচ্ছেন তারা। তাসকিন একদম সুস্থ হতে না পারলে তার বদলে রিজার্ভ বেঞ্চের হাসান মাহমুদকে ঢুকানো হবে, '(তাসকিনের ব্যাপারে) চিকিৎসা বিভাগ হয়তো ভালো জানাতে পারবে। আমাদের যতটুকু তথ্য জানা আছে, ওই তথ্যের আলোকে আমরা আশা রাখছি, তিনি হয়তো বিশ্বকাপ চলার কোনো একটা পর্যায়ে সুস্থ হয়ে যাবেন। সেই আলোকেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে।'

বিশ্বকাপে দোলাচল থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে তাসকিনের খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই, 'যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বিভাগ থেকে যা বলা হয়েছে, আমার মনে হয় না, তাসকিন সেখানে থাকতে পারবে। তবে দলের সঙ্গে রিজার্ভ হিসেবে যারা যাচ্ছে, তারা সেখানে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।'

তাসকিনের খেলাই যেখানে নিশ্চিত না, সেখানে তাকে দেয়া হয়েছে সহ-অধিনায়কত্বের ভার। এই প্রশ্নের উত্তর বোর্ডের দিকে ঠেলে দেন লিপু, 'তাসকিন আরেক প্রজন্মের উদীয়মান একজন ক্রিকেটার। একটা বিভাগকে (পেস) সে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছে বিভিন্ন সংস্করণে। সেজন্য হয়তো তাকে যোগ্য দাবিদার মনে করেছে বিসিবি।'

তাসকিনের চোটে পড়া নিয়েও আছে প্রশ্ন। জিম্বাবুয়ের মতন দলের বিপক্ষে তাকে চার ম্যাচ খেলাতে হলো কেন। কেন আরও বিশ্রামে রেখে সতেজ করা হলো না। এমন প্রশ্নে ভাগ্যের উপর দায় চাপান প্রধান নির্বাচক,  'একটা জিনিস ঘটার পরে কিন্তু অনেক কিছুই মনে হয়। আমরা নিজেরাও আক্ষেপ করেছি, হয়তো (তাসকিনের চোট) এড়ানো যেত। সত্যি বলতে, আমাদের তরফ থেকে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পরামর্শ দেইনি।'

'শরিফুলের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাকে শেষ দুই ম্যাচ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। তবে চতুর্থ ম্যাচের আগে সেভাবে কোনো... আসলে টিম ম্যানেজমেন্টকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু তাদেরকে বলিনি। তবে এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে হয়ে গেল। হয়তো এড়ানো যেত। সবই ভাগ্যের লিখন।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago