নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে যে স্বাদ 'প্রথমবার' নিলেন মুশফিক
ইনিংসের শেষ বল। আয়ারল্যান্ডের পেসার গ্রাহাম হিউম মিডল ও লেগ স্টাম্প বরাবর করলেন লো ফুল টস। মুশফিকুর রহিম ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে নিলেন সিঙ্গেল। পূরণ হয়ে গেল ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার নবম সেঞ্চুরি, যা এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের দ্রুততম।
স্মরণীয় সেঞ্চুরির দিনে সোমবার একটি 'প্রথম'-এর অভিজ্ঞতা হয়েছে মুশফিকের। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তার আগের আট সেঞ্চুরির সবকটি এসেছিল চার নম্বরে ব্যাট করে। ২৪৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১১৭ ইনিংস তিনি খেলেছেন এই পজিশনে। অন্যান্য পজিশনে ক্রিজে নামা ১১২ ইনিংসে এবারই প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। বাকি ১৫ ইনিংসে তিনি ব্যাট করেননি।
ওয়ানডেতে চার নম্বর পজিশনেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ মুশফিকের ব্যাটিং পরিসংখ্যান। ৪২.৩৯ গড়ে তিনি করেছেন ৪৩৬৭ রান। ছয় নম্বর পজিশনেও তিনি সফল। ৫৩ ইনিংসে ৩৫.৫৬ গড়ে তুলেছেন ১৪৫৮ রান। এছাড়া, ওপেনিংয়ে একটি, তিন নম্বরে ১১টি, পাঁচ নম্বরে ২৬টি ও সাত নম্বরে ১৩টি ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। লোয়ার অর্ডারেও ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে তার। আট নম্বরে ছয়বার ও নয় নম্বরে দুবার ব্যাট করেন তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান মুশফিক। এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার ছয়ে নেমে অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রানে। মাত্র ৬০ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৪ চার ও ২ ছক্কা। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে দ্রুত শতকের রেকর্ড। বিস্ফোরক এই ইনিংস খেলার পথে তৃতীয় টাইগার ব্যাটার হিসেবে সাত হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে মুশফিক পেরিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে শতরান করেছিলেন বাঁহাতি সাকিব। শীর্ষ এই টাইগার তারকার সেই রেকর্ড এদিন ভাঙা পড়ার আগে টিকে ছিল ১৪ বছর।
৩৫ বছর বয়সী মুশফিকের দারুণ অর্জনের দিনে বাংলাদেশও গড়েছে রেকর্ড। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আইরিশদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা করেছে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান। এই সংস্করণে এটাই তাদের সর্বোচ্চ দলীয় রান। ফলে একই ভেন্যুতে গত শনিবার করা ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান পড়ে গেছে পেছনে।
Comments