সাকিবের চিৎকার দেখেই উল্টো বোলার বদল করছিলেন সোহান

মাঠের বাইরে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেটা দেখে বোলার পরিবর্তন করে ফেলেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে এক পলশা বিতর্ক হয়ে যায় সাকিবের সঙ্গে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচের ঘটনা। দ্বিতীয় ইনিংস যখন শুরু হওয়ার পথে, তখন মাঠের বাইরে থেকে চিৎকার করতে করতে এক পর্যায়ে মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব। ম্যাচ রেফারির অনুমতি ছাড়া ক্রিকেটের আইনে যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নিয়ে নানা চর্চা।

মূলত কোন ব্যাটার ব্যাট করবেন সেটা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে দেখে বাঁহাতি ব্যাটার চতুরঙ্গ ডি সিলভা আসেন স্ট্রাইক প্রান্তে। কিন্তু পরে রকিবুলের পরিবর্তে  শেখ মেহেদী হাসানকে বল তুলে দিতে চান সোহান। মাঠের বাইরে থেকে তখন চতুরঙ্গের বদলে স্ট্রাইকে এনামুল হক বিজয়কে আসার ইশারা করেন সাকিব। বিতর্কের শুরু এখান থেকেই।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে বরিশালের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলে যান সোহানের মজা করার কথা। সে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় সোহানের কাছেও। উত্তরে রংপুর অধিনায়ক বলেন, 'আমি দেখতেছিলাম, সাকিব ভাই বাইরে থেকে যখন চিলাচ্ছে, এজন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম।'

'অবশ্যই আমি চাইবো ওদের সেরা ব্যাটারের বিপক্ষে আমার সেরা বোলার বল করুক। আপনি যদি উইকেট চিন্তা করেন, এক পাশে বড় আরেক পাশে ছোট। যখন জিনিসটা এমন হচ্ছিল, শেষের দিকে জিনিসটা এরকম আসছিল। আমি চাচ্ছিলাম মেহেদী আমার দলের সেরা বোলার, বাঁহাতির বিপক্ষে ও করুক, ডানহাতির বিপক্ষে রাকিবুল। আমার কাছে মনে হয় এটা ফেয়ার এনাফ। যে জিনিসটা হয়েছে, একটা পর্যায়ে এটা হয়তো দুষ্টামির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল', এমনটাই বলেন সোহান।

এমনটা সম্পূর্ণ মজা করেই করেছেন কি-না জানতে চাইলে সোহান বলেন, 'দুষ্টামির কথা বলিনি। আমি বলেছি সাকিব ভাই যখন বাইরে থেকে কথা বলছিল। তখন জিনিসটা আমিও করছি যে হচ্ছে আপনার বোলার বদলেছি। এটা যদি ব্যাটাররা করতো, তাহলে আমিও বদলাতাম না। যখন বাইরে থেকে কথা হয়েছে, এ কারণে আমি বদলেছি। এটাকে দুষ্টামিও বলবো না। আমি যেটা বললাম আমি চাইবো সেরা বোলার সেরা ব্যাটারের বিপক্ষে যেন বল করে।'

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন চতুরঙ্গ। মূলত সেটা জেনেই শুরুতে রকিবুলের হাতে বল দিয়েছিলেন সোহান। পরে বিজয়কে স্ট্রাইক প্রান্তে দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন সোহান, 'অবশ্যই আমি চাচ্ছিলাম ব্যাটার আসুক। যখন ব্যাটার ঢুকছে, আমি জিজ্ঞেস করেছি নরমালি কে স্ট্রাইক করে। তো যখন আসছে, আমার বোলার আসছে। যখন বাইরে থেকে আবার কথা আসছে; তখন আমি বদলেছি।'

তবে বিষয়টি শক্ত হাতে আম্পায়ার সুরাহা করে দিলেই সব ঠিক হয়ে যেত বলে মনে করেন রংপুর অধিনায়ক, 'আম্পায়ার আগে বলা উচিত ছিল। আম্পায়ার তো কিছু বলেনি। আম্পায়ার কথা বললে আরেকটু আগে সমাধান হতো। আমাকে যখন বলেছে, আর কোনো তর্ক করিনি। পরে তো সেটাই হয়েছে, ব্যাটাররা যা চেয়েছে। ব্যাটারের রাইট যেটা, ওটাই করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bus electrocution in Gazipur: 3 IUT students die, 15 injured

The three students, in a panic, attempted to jump off the bus but were electrocuted after they came in contact with the electrified body of the vehicle

19m ago