টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে পণ্ড হলে যা হবে

সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো যদি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়ে যায় বা ফল না আসে, তাহলে কোন কোন দল ফাইনালে যাবে সেটা নির্ধারণের পদ্ধতিও আগে থেকে চূড়ান্ত করে রেখেছে আইসিসি।
ছবি: এএফপি

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালের প্রথমটিতে রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয়টিতে নেই। ব্যাপারটা বিস্ময় জাগালেও এবারের আসরের ব্যস্ত সূচির কারণেই এমন অদ্ভুত নিয়ম করা হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এর পেছনের কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেনি আইসিসি। তবে রিজার্ভ ডে না থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রেখেছে সংস্থাটি।

শুধু তাই নয়, সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো যদি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়ে যায় বা ফল না আসে, তাহলে কোন কোন দল ফাইনালে যাবে সেটা নির্ধারণের পদ্ধতিও আগে থেকে চূড়ান্ত করে রেখেছে আইসিসি। দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে সেসব:

প্রথম সেমিফাইনাল: দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান

ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের লড়াই শুরু হবে বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় (বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায়)। এই ম্যাচের জন্য আছে রিজার্ভ ডে। তবে চেষ্টা করা হবে প্রথম দিনেই খেলা শেষ করার, সেটা ওভার কমিয়ে হলেও। সেজন্য নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে বাড়তি ৬০ মিনিট যোগ করা হবে।

এই ম্যাচ রিজার্ভ ডেতে গড়ালে আগের দিন যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু করা হবে। তারপরও নির্ধারিত সময়ে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা না গেলে বাড়তি ১৯০ মিনিট খেলা হবে। কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল আনার জন্য সাধারণত দুই দলকে কমপক্ষে ৫ ওভার করে খেলতে হয়। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ভিন্ন নিয়মের প্রচলন রয়েছে। এসব ম্যাচে অন্তত ১০ ওভার করে খেলা হতে হয়।

এত আয়োজনের পরও যদি বৃষ্টির কারণে একেবারেই পণ্ড হয়ে যায় খেলা, সেক্ষেত্রে সুপার এইট পর্বে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকা দল পাবে ফাইনালের টিকিট। এই নিয়ম অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা জায়গা করে নেবে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে।

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: ভারত-ইংল্যান্ড

গায়ানায় ভারত ও ইংল্যান্ডের লড়াই মাঠে গড়াবে স্থানীয় সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়)। এই ম্যাচে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হোক বা রানার্সআপ, ভারত সেমিফাইনালে উঠলে দ্বিতীয়টিতেই খেলবে, তাও সূচি প্রকাশের সময়ই চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কারণ, দেশটির স্থানীয় সময় অনুসারে রাত আটটায় অর্থাৎ দর্শকদের জন্য প্রাইম টাইমে খেলা শুরু হবে। সম্প্রচারকদের জন্যও ব্যবসায়িক দিক থেকে এই সূচি হবে ভীষণ লাভজনক।

এই ম্যাচ ও ফাইনালের মাঝে বিরতি কেবল একদিনের। তাই খেলা রিজার্ভ ডেতে গড়ালে জয়ী দলকে টানা তিনদিন মাঠে নামতে হতো। সেই পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, সেকারণেই ভিন্ন নিয়ম। তাছাড়া, ফাইনাল যেহেতু ক্যরিবিয়ান অঞ্চলের আরেক দেশ বার্বাডোজে হবে, তাই ক্রিকেটারদের ভ্রমণের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হয়েছে।

বৃষ্টি হানা দিলেও একদিনেই ফল আনার জন্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে বাড়তি মোট ২৫০ মিনিট খেলা হবে। তারপরও ম্যাচ ভেস্তে গেলে সুপার এইট পর্বে এগিয়ে থাকায় ভারত নিশ্চিত করবে ফাইনাল।

Comments