শঙ্কা উড়িয়ে পাওয়া জয়ে শেষ পাকিস্তানের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ

আয়ারল্যান্ডকে অল্প পুঁজিতে আটকে ফেলেও রান তাড়ায় ভীষণ চাপে পড়ল পাকিস্তান।
ছবি: এক্স

বোলারদের নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডকে অল্প পুঁজিতে আটকে ফেলেও রান তাড়ায় ভীষণ চাপে পড়ল পাকিস্তান। তবে শঙ্কা উড়িয়ে সান্ত্বনার জয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করল তারা।

কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আগের আটটি আসরের ছয়টিতেই পাকিস্তান খেলেছিল অন্তত সেমিফাইনাল। একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানার্সআপ হওয়ার স্বাদও পেয়েছে দলটি। তবে কোনোবারই প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যায়নি তারা। কিন্তু এবার বাবর আজমদের পথচলা গ্রুপ পর্বে থেমে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছিল আগেই।

আগে যে দুবার পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেবার তারা সুপার টেন থেকে বিদায় নিয়েছিল। তবে ২০১৪ ও ২০১৬ সালের ওই দুই আসরে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হয়নি তাদেরকে। তারা সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার টেনে অংশ নিয়েছিল।

'এ' গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোববার ফ্লোরিডার মন্থর পিচে আইরিশদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানিরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১০৬ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ১১১ রান করে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।

প্রথম ওভারেই জোড়া শিকার ধরে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু পাইয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরও তোপ দাগলে এলোমেলো হয়ে পড়ে আইরিশরা। সপ্তম ওভারে ৩২ রানের মধ্যে তারা হারায় ৬ উইকেট।

সেই বিপর্যয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন গ্যারেথ ডেলানি ও মার্ক অ্যাডায়ার। তারা গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ডেলানি। অ্যাডায়ার থামেন ১৯ বলে ১৫ করে। শেষদিকে জশ লিটলের ১৮ বলে অপরাজিত ২২ রানে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ যায় তিন অঙ্কে।

ম্যাচসেরা শাহিন ৩ উইকেট নেন ২২ রানে। প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডারকে ছেঁটে ফেলা ইমাদ ওয়াসিম সমান সংখ্যক উইকেট পান স্রেফ ৮ রান খরচায়। আমির ২ শিকার ধরেন ১১ রানে।

রান তাড়ায় নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাইম আইয়ুব ফেরেন থিতু হিয়ে। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে সমান ১৭ রানের ইনিংস। পাকিস্তান পাওয়ার প্লে শেষ করে ৪০ রান তুলে। এর কিছু সময় পর হারের শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি। ৫২ থেকে ৬২ রানে যেতে তারা খুইয়ে ফেলে ৪ উইকেট।

তিনে নামা অধিনায়ক বাবর সেসময় ধরে রাখেন হাল। আব্বাস আফ্রিদির সঙ্গে তার ৩৩ রানের জুটিতে পাকিস্তান খুঁজে পায় পথের দিশা। আব্বাসের আউটের পর শাহিন আগ্রাসী হয়ে দ্রুত শেষ করে দেন খেলা। বাবর ৩৪ বলে ২ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। আব্বাস ২১ বলে করেন ১৭ রান। শাহিন ২ ছক্কায় ৫ বলে খেলেন ১৩ রানের অপরাজিত ক্যামিও।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যারি ম্যাককার্থি ৩ উইকেট শিকার করেন ১৫ রানে। ২ উইকেট নিতে কার্টিস ক্যাম্ফারের খরচা ২৪ রান। একটি করে উইকেট যায় অ্যাডায়ার ও বেন হোয়াইটের ঝুলিতে।

এই গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করা ভারত ও বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট যথাক্রমে ৭ ও ৫। তিনে থাকা পাকিস্তানের অর্জন ৪ পয়েন্ট। তাদের ঠিক পরেই কানাডা আছে ৩ পয়েন্ট নিয়ে। তলানিতে থাকা আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ১।

Comments