কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের গোল উৎসবের পর কাল উৎসব হলো স্টেডিয়ামের বাইরে, দোহা শহর পুরো হলুদ রঙে ছেয়ে গেল। গান বাজনা আর ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাস দেখতে দেখতে রাতের দোহা কখন যে সকাল হয়ে গেছে বুঝতেও পারিনি।
প্রিয় দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে কেউ আসছেন প্রিয় দলের জার্সি পরে, কেউ আসছেন বাংলাদেশের পতাকার ডিজাইনে তৈরি জার্সি পরে, কেউ কেউ আসছেন প্রিয় দলের জার্সির রঙের লুঙ্গি পরে আর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি...
প্রথম ম্যাচে জার্মানি আর শেষ ম্যাচে স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করার পর এখন জাপানি সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের!
আর্জেন্টিনা ম্যাচে মাঠে ঢুকেই দেখি আর্জেন্টাইন আকাশী সাদা উৎসব। যেদিকে চোখ গেছে সেদিকেই শুধু আকামী সাদা সমর্থক। স্টেডিয়ামে ঢুকতে ঢুকতে কথা হলো মরক্কো থেকে আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে আসা তরুণী রিম এর...
অনেকেই নিজেদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নেন ফুটবল বিশ্বকাপকে। কাতার বিশ্বকাপও ফুটবল মাঠের এই রাজনীতির বাইরে নয়। এখানে শুধু সমর্থকরাই না, খেলোয়াড়রাও নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করছেন...
ব্রাজিলের এক ঝাঁক তারকা ফুটবলারের নৈপুণ্যেই শুধু এই স্টেডিয়াম মাতেনি, আগামীকাল আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে পা পড়বে বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসের আরেক কিংবদন্তি লিওনেল মেসির!
নিজস্ব সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য পুরো কাতারকে সাজিয়েছে তারা বিশাল আয়োজনে। সেই কাতারেই আবার বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে দুনিয়ার নানা প্রান্তের মানুষ নিজেদের মেলে ধরছেন বৈচিত্র্য আর নান্দিকতার ঢঙে।
হাজার হাজার মানুষ স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে মিছিল করতে করতে ছুটলো মেট্রো স্টেশন, বাস স্টেশন আর ট্যাক্সি পার্কিংয়ের দিকে। সবার কন্ঠ একটা বিজয়ে হয়ে গেলো বজ্রকন্ঠ, মিছিলে স্লোগান উঠলো আর্জেন্টিনা আর মেসির!
কাতারে যে বিশ্বকাপ হচ্ছে এর পুরো আমেজ পাওয়া যায় শুধু স্টেডিয়ামে গেলেই। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে এত এত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যে দর্শকরা বিশ্বকাপের সব উন্মাদনা জমিয়ে রাখেন স্টেডিয়ামের জন্য।
সৌদি আরবের সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের পরও যেমন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, আর্জেন্টিনা কাতার থেকে বিশ্বকাপ নিয়েই বাড়ি ফিরবে!