লা লিগা জমিয়ে বার্সা কোচ বললেন, 'পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো'

দারুণ শুরুর পর হঠাৎ হোঁচট। মাঝে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল বার্সেলোনা। তাতে শিরোপা লড়াই থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল দলটি। তবে মাদ্রিদের দুই ক্লাব পয়েন্ট খোয়ানোয় এবং পাশাপাশি নিজেরাও ঘুরে দাঁড়ানোয় জমে উঠেছে লা লিগার আসর। আর লড়াইয়ে ফিরে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। 

রোববার রাতে সেভিয়ার মাঠে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। তাতে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান দুইয়ে কমিয়ে এনেছে দলটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য এক। লিগে এখন বাকি ১৩ রাউন্ড।

শনিবার মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হওয়ার পরই লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ আসে বার্সার সামনে। সেভিয়ার মাঠে প্রত্যাশিত জয়ে ফিরে আসে লড়াইয়ে। শুরুতে লেভানদোভস্কির গোলে এগিয়েও যায় তারা। তবে লিড ধরে রাখতে পারেনি এক মিনিটও। এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। কিন্তু এরমধ্যেই আবার ফেরমিন লোপেজ লাল কার্ড না খাওয়ায় কঠিন হয়ে যায় ম্যাচটি। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় জয়ই পেয়েছে তারা।

কঠিন লড়াই করে পাওয়া এই জয়ে দারুণ খুশি ফ্লিক, 'আমাদের পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিন পয়েন্টের জন্য লড়াই করেছি। এটি আমাদের স্বাভাবিক খেলার চেয়ে বেশ ভিন্ন ছিল। আমরা খুব ভালো খেলেছি। রক্ষণভাগেও আমরা দারুণ ছিলাম। প্রতিপক্ষের উইঙ্গাররা দুর্দান্ত খেলোয়াড়, তবে আমরা তাদের ভালোভাবে সামলেছি। এটা নিয়ে আমি খুবই খুশি।'

ফেরমিনের লাল কার্ড পাওয়ায় হতাশ হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই দারুণ পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য তরুণ মিডফিল্ডারকে উৎসাহ দেন বার্সা কোচ, 'সে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছে, তারপর এই ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমরা হাই প্রেসিং করছিলাম এবং আমাদের গেমের তীব্রতা ভালো ছিল, তবে এমনটা ঘটতেই পারে। তার গোল আমাদের সাহায্য করেছে। ১০ জন নিয়ে ৪-৪-১ ফরমেশনে রক্ষণ সামলানোর একটি ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেট-পিস থেকে চতুর্থ গোলও পেয়েছি, সবকিছু আমাদের অনুকূলেই ছিল।'

শিরোপা লড়াইয়ে ফিরে আসা নিয়ে বলেন, 'লা লিগায় তিন, চার বা পাঁচটি ভালো দল আছে, আমরাও তাদের মধ্যে একজন। পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো, তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের কেবল নিজেদের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের ম্যাচগুলো জেতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদের দিকে তাকানোর দরকার নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago