আমাদেরকে শেষ ৩০ মিনিট ভুলে যেতে হবে: আনচেলত্তি

Carlo Ancelotti

প্রথমার্ধে দুই দলই লড়ছিল সমান তালে, গোল পায়নি কেউ। বিরতির পর সব এলোমেলো হয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদের। ৫৪ থেকে ৮৪- এই ৩০ মিনিটের ঝড়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪ গোল হজম করে হারল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দুঃস্বপ্নের এই রাতে ওই ৩০ মিনিট ভুলে যেতে চাইছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

শনিবার নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে রিয়াল। রবার্ট লেভানভস্কির জোড়া গোল, লামিন ইমায়াল আর রাফিনিয়ার ঝলকে এলোমেলো হয়ে যায় রিয়াল রক্ষণ।

মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোতে ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে এমন হারে ভীষণ হতাশ হলেও সব শেষ হয়ে গেছে বলে মানছেন না আনচেলত্তি,   'আমরা আক্রান্ত হয়েছি। এটা কঠিন মুহূর্ত। কিন্তু আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ দিব এভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য। আমাদের সব কিছু ছুঁড়ে ফেলার দরকার নেই, ছুঁড়ে ফেলার মতন কিছু হয়নি।'

এই জয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়াল থেকে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছে বার্সা। তবু আনচেলত্তি মনে করছেন এই অবস্থা থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব, সেই সময় তাদের হাতে আছে। সেজন্য বাজে সময়টা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে চাইছেন তিনি,  'আমাদেরকে শেষ ৩০ মিনিট ভুলে যেতে হবে। মৌসুম অনেক লম্বা, আমাদের অবশ্য হাল ছাড়া যাবে না। আমাদের এটা থেকে শিখতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে। মৌসুম লম্বা, অবশ্যই সব ছুঁড়ে ফেলতে হবে না। দল আরও ভাল করতে পারে এবং আমরা সেটা করব।'

রিয়াল কোচের মতে খেলার স্কোর লাইন ম্যাচের আসল লড়াই বুঝতে পারছে না, 'মাঠে কী হয়েছে সেটা ফলে বোঝা যাচ্ছে না। আমরা লিড নিতে পারিনি, তারা এগিয়ে গিয়েছে। প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত আমরাই বেশি সুযোগ তৈরি করেছি।'

রিয়ালের বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপে তার প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় ছিলেন বিবর্ণ। ৮ বার অফ সাইডের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। রিয়াল কোচ এমবাপের পারফরম্যান্সে তার হতাশা আড়াল করেননি,   'জানা ছিলো বার্সা হাই ডিফেন্স লাইন রাখবে। আমরা এর সুবিধা নিতে পারিনি। ও (এমবাপে) কিছু সুযোগ পেয়েছি কিন্তু সে অফ সাইডে ছিলো। তিন-চারটা সুযোগে তাকে আরও নিখুঁত হওয়া দরকার ছিলো।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago