মেসি মাঠে নামলেও স্পট-কিক নিলেন না, টাইব্রেকারে হারল মায়ামি
জাপানের দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে পেয়ে জেগে উঠল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাবটি। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ভিসেল কোবের কাছে হারল তারা। মেসি অবশ্য কোনো শট নেননি পেনাল্টি শুটআউটে।
বুধবার প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে টোকিওতে অবস্থিত জাপান জাতীয় স্টেডিয়ামে পরাস্ত হয়েছে মায়ামি। তাদেরকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জে ওয়ান লিগের ক্লাব কোবে।
জাপান সফরে যাওয়ার আগে হংকংয়ে গিয়েছিল মায়ামি। কিন্তু গত রোববার নির্বাচিত হংকং একাদশকে ৪-১ তারা বিধ্বস্ত করলেও সেদিন খেলেননি মেসি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ডকে। তিনি মাঠে না নামায় কানায় কানায় পূর্ণ হংকং স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। শেষমেশ সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ বছর বয়সী মেসিকে গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হয়েছিল।
কোবের বিপক্ষেও মেসির খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। তবে শঙ্কা দূর করে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে দাভিদ রুইজের পরিবর্তে মাঠে ঢোকেন তিনি। ধুঁকতে থাকা মায়ামি যেন তখন হালে পানি পায়। তবে ঝলক দেখালেও গোল পাননি রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী তারকা।
ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে জোড়া সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন মেসি। প্রথমে গোলরক্ষক শোতা আরাইকে একা পেলেও তাকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তার বাঁ পায়ের জোরালো শট প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বলে ডান পায়ে শট নেন তিনি। কিন্তু গোললাইন থেকে তা ফিরিয়ে দেন কোবের ডিফেন্ডার রিও হাতসুসে। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।
এরপর টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি শট শেষেও ৩-৩ ব্যবধানে সমতা থাকে। সাডেন ডেথে কোবের নানাসেই লিনো জাল খুঁজে নিলেও মায়ামিকে হতাশায় পুড়িয়ে গ্রেগরের শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন আরাই। মেসি সেসময় মাঠে থাকলেও স্পট-কিক নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
Comments