সবগুলো ব্যালন ডি’অরই ভিন্ন ভিন্ন কারণে স্পেশাল: মেসি

ছবি: রয়টার্স

নিজেকে ছাড়িয়ে আরও উঁচুতে উঠলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জিতলেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি'অর। ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানালেন, প্রতিটি ব্যালন ডি'অরই তার কাছে বিশেষ কিছু।

সোমবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দ্যু শাতলেতে ছিল জাঁকজমকপূর্ণ একটি আয়োজন। সেখানে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি'অর জয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। ক্ষুদে জাদুকরের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন তার বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামির সহ-স্বত্বাধিকারী ও ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ডেভিড বেকহ্যাম। ব্যালন ডি'অর জয়ের দৌড়ে মেসি পেছনে ফেলেন আর্লিং হালান্ড-কিলিয়ান এমবাপেদের।

এরপর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় মেসি জানান ফুটবলকে ঘিরে নিজের সমস্ত লক্ষ্য পূরণের কথা, 'আমি যে ক্যারিয়ার পেয়েছি সেটা আমি কল্পনাও করিনি! ভাগ্যকে আমার পাশে পেয়েছি, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমার সব লক্ষ্য পূরণের করতে পেরেছি, ফুটবলে যা কিছু আছে তার সবই অর্জন করতে পেরেছি— যা খুবই কঠিন।'

গত বছর ডিসেম্বরে পরম আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরা মেসি জাতীয় দল আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কিছু না বলে থাকতে পারেননি, 'আমার ভাগ্য ভালো যে বিশ্বের সেরা দলে খেলেছি, ইতিহাসের সেরা দলে খেলেছি। এই দলটা শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে সব কিছুকে সহজ করে তোলে, যা আবার আমাকে ব্যক্তিগত পুরস্কার অর্জনের দিকেও এগিয়ে নিয়ে যায়।'

একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ব্যালন ডি'অর জেতা মেসি যোগ করেন, 'সবগুলোই (পুরস্কার) ভিন্ন ভিন্ন কারণে স্পেশাল।'

এবারের ব্যালন ডি'অরের জন্য বিবেচিত সময়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪২ গোল ও ২৬ অ্যাসিস্ট করেন মেসি। সাবেক ক্লাব পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানসহ দুটি শিরোপা জেতেন তিনি। তবে তাকে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল একটি কারণে— বিশ্বকাপ। কাতারের মাটিতে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আসরজুড়ে নজকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মেসি জেতেন গোল্ডেন বলও।

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লিগের দল মায়ামির হয়ে তো বটেই, ইউরোপের বাইরের কোনো ক্লাবের হয়ে ব্যালন ডি'অর জেতা প্রথম ফুটবলার মেসি। এর আগে বার্সেলোনা ও পিএসজির হয়ে মোট সাতবার (২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১) এই পুরস্কারের স্বাদ নেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Torch procession at DU demanding justice for JCD leader Shammo

The procession, under the banner of "Students Against Terrorism", began around 8:20pm

9m ago