উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

দ্বিতীয় লেগে '৯ স্ট্রাইকার' খেলাতে পারেন গার্দিওলা!

ছবি: এএফপি

ফরমেশনটা একবার ভাবুন। একজন গোলরক্ষকের সামনে একজন ডিফেন্ডার কিংবা মিডফিল্ডার। আর বাকি নয়জনই স্ট্রাইকার! আধুনিক ফুটবলে এমন কিছু ঘটতে দেখা কেবল কল্পনাতেই সম্ভব। তবে সেটাকেই বাস্তবে রূপ দেওয়ার কথা বললেন পেপ গার্দিওলা। আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে হয়তো এরকম পাগলাটে কাণ্ড ঘটাতে পারেন তিনি। তবে ঘাবড়ে যাবেন না পাঠক। রসিকতার ছলেই এরকম মন্তব্য ম্যানচেস্টার সিটি কোচের।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে লাইপজিগের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট এক লড়াই। আসরের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জার্মান ক্লাবটি ১-১ গোলে ড্র করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী সিটির সঙ্গে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে রিয়াদ মাহরেজ সফরকারীদের এগিয়ে দেন। এরপর ৭০তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ইয়োসকো ভার্দিওল। 

প্রথমার্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল গার্দিওলার শিষ্যদের। একাধিক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত তারা। সিটিজেনদের দাপটের সামনে একেবারে কোণঠাসা ছিল লাইপজিগ। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পাল্টে যায় চিত্র। সেসময় সিটি কিছু সুযোগ পেলেও চালকের আসনে ছিল মূলত লাইপজিগ। আক্রমণের ধারা বজায় রেখে তারা গোল শোধ করে দেয়। সেই স্কোরলাইনেই শেষ হয় রোমাঞ্চকর ম্যাচ যেখানে দুই দলেরই সম্ভাবনা ছিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার। এমন ফল লাইপজিগের জন্য উল্লাসের হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাপ্রত্যাশী সিটির জন্য হতাশার।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে যদিও তেমন কিছু শোনা যায়নি গার্দিওলার কণ্ঠে। ড্র করেই যেন সন্তুষ্ট তিনি, 'আমি এখানে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারতে আসিনি। (দ্বিতীয় লেগে) ম্যানচেস্টারের ম্যাচটা আরও উন্মুক্ত হবে।'

লাইপজিগের গতিময় ফুটবলের বিপরীতে ভোগান্তিতে পড়ার কথা স্বীকার করেন বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ, 'ট্রাঞ্জিশনের (প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিজেরা দখলে নেওয়া) ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো দল আমাদের নেই, তারা আমাদের চেয়ে ভালো। আর কাইল (ওয়াকার) ও আর্লিং (হালান্ড) বাদে তারা গতিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তাদের গতি আছে যা আমাদের নেই।'

গোটা ম্যাচে একজন খেলোয়াড়কেও বদলি করেননি গার্দিওলা। শুরুর একাদশই খেলে যায় শেষ বাঁশি পর্যন্ত। অথচ বেঞ্চে ছিলেন ফিল ফোডেন ও হুলিয়ান আলভারেজের মতো তারকা। ঠাট্টার সুরে ম্যান সিটি কোচ জানান, দুই দলের পরের সাক্ষাতে অদ্ভুতুড়ে কোনো কৌশল বেছে নিতে পারেন তিনি, 'দ্বিতীয় লেগে হয়তো আমি পাগলাটে কিছু করব এবং নয় স্ট্রাইকার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেব।'

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় গার্দিওলাকে। সেসময় শিষ্যদের প্রেরণা যোগান তিনি, 'তারা মাথা নিচু করে ছিল। আমি তাদেরকে বলেছি, "কেন তোমাদের মাথা নিচু? মাথা উঁচু করো। তোমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছ। যদি লোকদের তা ভালো না লাগে, কোনো ব্যাপার না। ম্যাচটা যেভাবে খেলার দরকার ছিল, সেভাবেই তোমরা খেলেছ।"'

আগামী ১৫ মার্চ দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। সেদিনই জানা যাবে কারা পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago