সব কৃতিত্ব নিজের একার মনে করেন না গার্দিওলা

পেপ গার্দিওলা। ছবি: এএফপি

'ট্রেবল' জয়ের পথে হাঁটছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখা প্রায় নিশ্চিত তাদের। তারা উঠেছে এফএ কাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও। এমন অসাধারণ একটি মৌসুম কাটানোর পেছনে ক্লাবটির কোচ পেপ গার্দিওলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে সব কৃতিত্ব নিজের একার মনে করেন না তিনি।

এই নিয়ে ছয় মৌসুমের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে শীর্ষে থাকা সিটি। ৩৫ ম্যাচে তাদের অর্জন ৮৫ পয়েন্ট। আসরে নিজেদের সবশেষ ১১ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল ৮১ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে দুইয়ে। প্রায় গোটা মৌসুম এক নম্বরে থাকলেও শেষদিকে এসে তাল হারিয়েছে দলটি। কোনো অঘটন না ঘটলে তাই সিটিজেনদের হাতেই শোভা পাবে লিগ শিরোপা।

আগামী মাসে দুটি ফাইনালে নামবে গার্দিওলার শিষ্যরা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৩ জুন এফএ কাপে তাদের প্রতিপক্ষ শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর এক সপ্তাহ পর ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা মোকাবিলা করবে ইতালিয়ান সিরি আর পরাশক্তি ইন্টার মিলানকে।

দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সিটির স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলা গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'কোচ হিসেবে আমি নিজেকে এটার অংশ মনে করি। সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি কখনও মনে করি না যে এটা আমার একার অর্জন।'

ক্লাব সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতিত্বের ভাগীদার মনে করেন তিনি, 'আমি এটার অংশ। আমি কখনও তা অস্বীকার করি না। তবে এটা ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক, বোর্ড ও খেলোয়াড়দের অবিশ্বাস্য শ্রম ও সিদ্ধান্ত ছাড়া ঘটেনি। তারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।'

সিটিজেনদের সাফল্য নিয়ে গর্বিত ৫২ বছর বয়সী গার্দিওলা যোগ করেন, 'আমি সত্যিই গর্বিত। কিন্তু আমি একাই প্রিমিয়ার লিগ জিতেছি বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছি বা আরও অনেক কিছু করেছি, সেটা নয়। আমি অনুভব করি না যে এসব আমার একার কারণে হয়েছে।'

আগামীকাল রোববার প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চেলসির মুখোমুখি হবে সিটি। এই ম্যাচে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। তবে এর আগেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে গার্দিওলার দলের। যদি আর্সেনাল হেরে যায় নটিংহ্যাম ফরেস্টের মাঠে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

2h ago