সৌম্যের ঝড়ো ইনিংসে গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর

Soumya Sarkar

ম্যাচটা খেলারই কথা ছিলো না সৌম্য সরকারের। ম্যাচের ৮ ঘণ্টা আগেও অনাপত্তিপত্র নিয়ে অনিশ্চিতয়তা ছিলো সৌম্য, আফিফ হোসেন আর রিশাদ হোসেনের। একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে বিসিবির বিশেষ বিবেচনায় তাদের খেলতে দেয়। খেলতে নেমে সৌম্য তুলেন ঝড়। তার উত্তাল ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুর জিতেছে ৫৬ রানে। আগে ব্যাট করে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় তারা, জবাব দিতে নেমে ১২২ রানে থেমে যায় ভিক্টোরিয়া।

ম্যাচ জেতানো ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ৭ চার, ৫ ছক্কায় ৮৬ রান করেন সৌম্য, তার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে শতরানের জুটির পথে ৪৯ বলে ৬৮ করেন স্টিভেন টেইলর।

Rangpur Riders

টস জিতে ব্যাটিং বেছে দারুণ শুরু পায় রংপুর। সৌম্য-টেইলর জুটিতে আসে ১২৪ রান। ৬৮ করে টেইলর থামলেও সৌম্য আর আউট হননি। তিনি একাই টেনে নেন দলকে। সৌম্য আর টেইলর ছাড়া রংপুরের দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন ওয়েইন ম্যাডসন (১০)। অর্থাৎ ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের বড় পুঁজির প্রায় পুরোটাই এসেছে দুই ওপেনারের হাত ধরে।

বল হাতে রংপুরের হয়ে ভূমিকা রেখেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় হারমিত সিং। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিনি ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। এছাড়া শেখ মেহেদী হাসান ২০ রানে ২, কামরুল ইসলাম রাব্বি ১৩ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। রিশাদ হোসেন ২৬ রানে ও সাইফ হাসান ২১ রানে পান ২ উইকেট। মন্থর উইকেটে একাধিক স্পিনার লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে সহজেই কাবু করে রংপুর।

৫ দলের গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম এই আসরে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালে উঠাই অনিশ্চিত ছিলো রংপুরের। শেষ দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে তারাই জিতল কাপ। ফাইনালে নামার আগে একাদশ নামানো নিয়েই চিন্তায় ছিলো তারা। কারণ সৌম্য, রিশাদ, আফিফদের অনাপত্তিপত্র ছিলো ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। গায়ানা থেকে সেন্ট কিটসে জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো তাদের। রংপুর একটা ম্যাচের জন্য বিসিবিকে জোরাজুরি করলে শেষ পর্যন্ত রাজী হন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ।

একাদশ পূরণ শুরু হয় সৌম্যকে যে কতটা দরকার ছিল রংপুরের ম্যাচেও হয়েছে তার প্রমাণ। ৮৬ রান করে ম্যাচ সেরা তো হয়েছেনই ১৮৮ রান করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও হয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। 

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago