জাকিরের এক ডজন ছক্কা সত্ত্বেও অক্ষত সৌম্যর রেকর্ড

Soumya Sarkar
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর উত্তাল হয়ে উঠল জাকির হাসানের ব্যাট। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে সাজালেন ছক্কার ডালি। তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগলেও শেষমেশ অক্ষত রইল সৌম্য সরকারের রেকর্ড।

শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ১৫৮ রান করেন জাকির। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি ও ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। তিনে নেমে ১৩২ বল খেলে ৮ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ১২ ছক্কা। ১০৬ বলে ছোঁয়া শতরানের আগে তিনি মেরেছিলেন ৬ ছক্কা। পরে ঝড় তুলে আরও ছয়বার বল সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডে দুইয়ে উঠে গেছেন জাকির। এদিন তার হাঁকানো এক ডজন ছক্কার চেয়ে বেশি মারার কীর্তি আছে কেবল একজনের। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে সৌম্য সরকার মেরেছিলেন ১৬ ছক্কা।

অনিয়মিত বোলার ও শাইনপুকুরের অধিনায়ক আকবর আলীকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। তখনও বাকি ছিল প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ১১ বল। আর পাঁচ বছর আগে সৌম্যর গড়া কীর্তি থেকে তিনি ছিলেন ৪ ছক্কা দূরে। অর্থাৎ রেকর্ড বইতে পরিবর্তন নিয়ে আসার সমীকরণ ছিল জাকিরের নাগালের মধ্যেই।

জাকিরের ১২ ছক্কার দিনে প্রিমিয়ার লিগের আরেক ম্যাচে ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনীর অধিনায়ক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মারেন ১০ ছক্কা। তার ১০১ বলে ১৩৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে আরও আছে ৮ চার।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড থেকে অবশ্য বেশ দূরে অবস্থান সৌম্য-জাকিরের। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ডার্সি শর্ট। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। সেদিন ১৪৮ বলে ২৫৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago