সৌম্যের কাছ থেকে শতভাগ পেতে চান শান্ত

Soumya Sarkar
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সৌম্য সরকার তার সেরা দিনে কি করতে পারেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে নেলসনে দেখিয়েছেন । বাকিদের ব্যর্থতায় একা খেলে ১৫১ বলে করেন ১৬৯। সমস্যা হলো তার এমন সেরা দিন আসে কমই। ধারাবাহিকতার ঘাটতি বাঁহাতি ব্যাটারের সামর্থ্যকে প্রায়ই করেছে আড়াল। তবে এই ধারাবাহিকতার ঘাটতি সৌম্যের একার না, নাজমুল হোসেন শান্তর মতে তাদের প্রত্যেকেরই।

গত কয়েক বছর ধরে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে সৌম্য। তার ব্যাটে যেমন ধারাবাহিকতার অভাব, তাকে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও ছিলো অধারাবাহিকতা। তাকে খেলানোর ভূমিকা ঠিক করে দিতেও বাংলাদেশ দল কখনো হাঁটেনি নির্দিষ্ট ছকে।

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সৌম্যকে কীভাবে ব্যবহার করতে চান? প্রশ্ন শোনে স্পষ্ট জবাব শান্তর, 'ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছু মিলিয়ে ওর কাছ থেকে শতভাগ পেতে চাই।'

টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তার মিডিয়াম পেসের কিছু ওভার চায় দল। ফিল্ডিংয়ে তিনি দলের সেরাদের একজন।

আসা-যাওয়ার মিছিলে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পাননি সৌম্য, বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছিলেন স্রেফ এক ম্যাচ। বাকিদের বিশ্বকাপ ব্যর্থতা তাকে আবার নিয়ে আসে মঞ্চে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলে অনেকটা পুনরুদ্ধার হয় ক্যারিয়ারের। সৌম্যে এই সিরিজে ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন কিনা দেখার বিষয়।  শান্ত জানান, যাতে ধরে রাখতে পারেন সেজন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না তার সতীর্থ,  'গত সিরিজে ওয়ানডেতে অনেকদিন পর ফিরল। তিনটা ম্যাচ খেলল, তার ভেতরে একটাতে বড় ইনিংস খেলল একটাতে মাশাল্লাহ। ধারাবাহিকতা সবারই প্রয়োজন আছে। আলাদাভাবে সৌম্যের একার প্রয়োজন সেটা বলব না। প্রত্যেকেটটা ব্যাটারকে এই জায়গায়  উন্নতির দরকার আছে। সৌম্য নিজেও এটা নিয়ে কাজ করছে। গত সিরিজে যদি চিন্তা করা যায় ওরকম কন্ডিশনে ওরকম একটা ইনিংস খেলা অবশ্যই আমাদের দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি যদি ও যদি সুযোগ পায় ওর যে জায়গায় ওখানে ব্যাট করলে ভালো করবে।'

বাংলাদেশি ব্যাটারদের কারোরই গড় ৪০ স্পর্শ করেনি। ৩৪, ৩৫ কিংবা বড় জোর ৩৭। ৬৬ ম্যাচ খেলে সৌম্যের গড়ও এমনই- ৩৩.৪৬। তবে তার বড় সামর্থ্যের প্রমাণ দেয় স্ট্রাইকরেট, ৯৭.৫৮। যা কমপক্ষে ৫০ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই স্ট্রাইকরেটের সঙ্গে ধারাবাহিকতা বাড়লে সৌম্য যে দলের জন্য কত বড় সম্পদ সেটা শান্ত নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছেন।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago