মিরপুর টেস্ট

১০৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

Jaker Ali Anik
স্টাম্পিং হয়ে ফিরছেন অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লাঞ্চের আগে ৬ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়া বাংলাদেশ লাঞ্চের পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক উইকেট পতনের স্রোতে কোনমতে তিন অঙ্ক পেরিয়েই থেমে গেছে তারা।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪০.১ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় স্রেফ ১০৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার কাগিসো রাবাদা ও ভিয়ান মুল্ডার পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। তিন উইকেট নিয়েছেন কেশম মহারাজও।

বাংলাদেশের গোটা ইনিংসে আসেনি তেমন কোন জুটি। নবম উইকেটে জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ২৬ রান। উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রোটিয়া বোলিংয়ে অনেকটা দিশেহারা দেখা গেছে তাদের।

ম্যাচের একদম দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে ক্যাচ দেন স্লিপে। খালি হাতে ফেরেন তিনি।

তিনে নামা মুমিনুল হক ভুগছিলেন প্রোটিয়ে ভেসে, তার ভোগান্তি থামে চতুর্থ ওভারে। ভিয়ান মুল্ডারের হালকা স্যুইং বিষে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের বিপর্যয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে বিপদ বাড়ান। মুল্ডারকে ফ্লিক করতে গিয়ে টপ এজড হয়ে ক্যাচ দেন মিড অফে। মুশফিকুর রহিম থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। প্রথম ঘন্টার পর দারুণ ডেলিভারিতে তার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন কাগিসো রাবাদা। টেস্টে ৩০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি।

কিপার ব্যাটার লিটন দাস নেমে সতর্ক পথে খেলছিলেন, কিন্তু টিকতে পারেননি। তারও হন্তারক রাবাদা। দারুণ এক ডেলিভারি পুশ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস গালিতে বা দিকে লাফিয়ে হাতে জমান অসাধারণ ক্যাচ। ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই হাত খুলে মারার চেষ্টা করছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। স্লগ সুইপে এক ছক্কা মারার পর আগ্রাসী খেলতে গিয়েই বিদায় তার। ড্যান পিটের বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন। অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক টিকেছেন ১৫ বল। মহারাজের বল ড্রাইভ খেলতে গিয়ে খানিকটা এগিয়ে যান, স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপরই আসে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। তাও সেটা কেবল ২৬ রানের। নাঈম হাসানকে নিয়ে এই রান যোগ করে দলকে তিন অঙ্ক পার করান তাইজুল ইসলাম।  এরপরই তার লড়াই থামিয়ে দেন মহারাজ।

Comments