দেশে নিরাপত্তা ও দেশত্যাগের নিশ্চয়তা না পেলে কানপুরেই সমাপ্তি সাকিবের

সাকিবের অবসর
এই বিশ্বকাপ এত ভুগাচ্ছে কেন? এমনটাই কি ভাবছেন সাকিব আল হাসান? ছবি: একুশ তাপাদার

সাকিব আল হাসান শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গত বিশ্বকাপেই। বাকি দুই সংস্করণের মধ্যে টেস্টটা তিনি ছাড়তে চান অক্টোবরে দেশের মাঠে  দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর ওয়ানডে থেকে বিদায়ের ইচ্ছা ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে। তবে আপাতত এসব তার কেবল নিজের চাওয়া। দেশে নিরাপত্তা নিয়ে  চিন্তিত সাকিব জানালেন, পরিস্থিতি অনুকূল না থাকলে কানপুরই হয়ত হবে তার শেষ টেস্ট।

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। গত মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। সাংসদ পদ হারিয়েছেন। গণহারে মামলার ভিড়ে একটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে তাকেও। এছাড়া শেয়ার বাজার কারসাজির অভিযোগে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সাকিবের বাস্তবতা বেশ প্রতিকূল।

বৃহস্পতিবার কানপুরে নিজের অবসর পরিকল্পনা জানিয়ে শীর্ষ এই তারকা বলেছেন, দেশে নিরাপত্তা পেলে ও খেলার পর দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবেন তিনি। আর না হলে কানপুরই হবে তার বিদায়,  'এটা আমার ইচ্ছা (মিরপুরে খেলে বিদায় নেয়া)। আমি বিসিবিকে জানিয়েছি। তারাও একমত হয়েছেন। তারা যদি আমাকে নিরাপদে মিরপুরে খেলার সুযোগ দেন ও দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি করে দেন তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট পর্যন্ত খেলতে চাই।'

'এটা আমার ইচ্ছা। যদি সেটা করা সম্ভব না হয় তাহলে এটাই (কানপুর টেস্ট) সম্ভবত হবে আমার শেষ টেস্ট।'

অনেকেই মনে করছেন দেশে ফিরলে হয়রানির শিকার হতে পারেন সাকিব। গত মাসে ক্ষমতার পালা বদলের পর চরম রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের পরিস্থিতি বেশ বিশৃঙ্খল। তৈরি হয়েছে চরম নিরাপত্তা সংকট। রাজনৈতিক হামলায় নিহতের সংখ্যা নিয়মিতই বাড়ছে, আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরাও।

এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে কেমন নিরাপত্তা পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে শীর্ষ এই ক্রিকেটার,  'আমি বাংলাদেশের নাগরিক। সেখানে যাওয়া আমার জন্য সমস্যা হওয়া উচিত না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কি হবে সেটাই উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশে যাওয়া কোন সমস্যা না। বাংলাদেশে বাস করা, নিরাপত্তা নিয়ে আমার স্বজন বন্ধুদের কাছে যা শুনেছি, তাতে উদ্বেগের। আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। একটা সমাধান আসবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago