পুরো সিরিজে আমাদের ব্যাটিং একেবারেই হতাশাজনক: হাথুরুসিংহে

টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের পুরনো রোগের নাম। সেটা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ভারতের মতন বিশ্ব সেরা আক্রমণের সামনে, প্রতিপক্ষের মানের জন্যও বাংলাদেশ বাস্তবতা টের পেয়েছে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে
Chandika Hathurusingha

আড়াই দিনের বেশি বৃষ্টির পেটে চলে যাওয়ায় কানপুরে ফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন না বেশিরভাগ। সেই দলে হয়ত ছিলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেও। তবে ভারত ভেবেছে ভিন্নভাবে। ক্ষীণ সুযোগও পুরোটা তুলে নিয়েছে তারা। তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে নিবেদন দেখাতে পারেননি তারা।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি আর কেউ। মুমিনুলের সেঞ্চুরির পরও তাই বাংলাদেশ করতে পারে ২৩৩। পরের ইনিংসে বলার মতন রান নেই কারো। দেড়শোর আগে গুটিয়ে তাই ওভারের হিসেবে দুই দিনের কম সময়ে ভারতের কাছে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা রান পেলেও ভারতের বিপক্ষে তারা ছিলেন মলিন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রান খরা কাটিয়ে চেন্নাইতে ৮২ রানের একটা ইনিংস খেললেও কানপুরে থিতু হয়েও দলের চাহিদা পূরণ করতে পারেননি।

শেষ দিনে ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ভারত থেকে পিছিয়ে ছিল ২৬ রানে। দরকার ছিল টিকে থেকে সময় পার করা, রান বাড়িয়ে নিরাপদে যাওয়া। সকালের সময়টা কিছুটা লড়াই করলেও পরে তাসের ঘরের মতন ধসে যায় ইনিংস। শান্ত, সাকিবদের দেখা যায় উইকেট ছুঁড়ে দিতে।

ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হারের সঙ্গে আরেকবার হোয়াইটওয়াশের বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারতে গিয়ে এমন ফল ঠিক হজম হচ্ছে না বাংলাদেশের প্রধান কোচের। তার কণ্ঠে তাই চরম হতাশা, আর সেটা ব্যাটিং নিয়ে,  'পুরো সিরিজে আমাদের ব্যাটিং একেবারেই হতাশাজনক। এমনকি আগের সিরিজেও আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো করেছে এবং কিছু কিছু খেলোয়াড় দারুণ পারফর্ম করেছে। সবশেষ কয়েকটি সিরিজ থেকেই আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এটার একটা কারণ মনে হয় আমাদের ব্যাটিং।'

টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের পুরনো রোগের নাম। সেটা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ভারতের মতন বিশ্ব সেরা আক্রমণের সামনে, প্রতিপক্ষের মানের জন্যও বাংলাদেশ বাস্তবতা টের পেয়েছে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে,  'আপনি মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের কথাও বলতে পারেন। তাদের সামর্থ্য, দক্ষতা সব কিছুই আমাদের চেয়ে তাদের বেশি ছিল। এখান থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখব। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা জানি টপ স্ট্যান্ডার্ড কী। তারা সেরা দল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেয়েছি আমরা। ভারতের মাটিতে খেলা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে খুবই কঠিন। আমরা জানি আমাদের আরও কত বেশি উন্নতি করা প্রয়োজন।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago