ব্যর্থতা কাটিয়ে শরিফুল জ্বলে উঠলেও পারেননি সাকিব
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে সময় ভালো যায়নি শরিফুল ইসলামের। এবার আরেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পা রেখেই সুদিনের দেখা পেলেন বাঁহাতি পেসার। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে এবারই প্রথম গিয়েছেন তিনি। লিগে নিজের প্রথম ম্যাচও স্মরণীয় করে রাখলেন। অন্যদিকে, নতুন ঠিকানায় গিয়েও সাকিব আল হাসানের দুর্দিন দূর হলো না। কানাডার মাটিতে নির্বিষ এক দিনই কাটালেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
শুক্রবার বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের হয়েছে ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা। বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে কোনো উইকেট পাননি সাকিব। ব্যাটিংয়ে তিন নাম্বারে নেমে ফেরেন ৬ বলে মাত্র ৩ রান করে। আর ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন শরিফুল। এরপর ৪ বলে এক ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
টস জিতে বোলিং নিয়ে শরিফুলকে শুরুতেই আক্রমণে আনেন বাংলা টাইগার্স মিসিসাগা দলের অধিনায়ক সাকিব। প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু অ্যাশটন অ্যাগারের পয়েন্টে তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ পড়ে যায়। নিজের প্রথম ওভারে ৩ রান দেন শরিফুল। তার পরের ওভারে এলোমেলো ব্যাট চালাতে থাকা ওপেনার অ্যাগার কোনো রানই বের করতে পারেননি।
শরিফুলের দুই ওভারে এক মেডেন ও ৩ রানের স্পেল শেষেই চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে নিজেকে নিয়ে আসেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার ৫ রান দেন নিজের প্রথম ওভারে। কিন্তু তার পরের ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাগার এনে ফেলেন ১৪ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় অর্ধে বোলিংয়ে এসে শেষ দুই ওভারে ১১ রান দেন সাকিব।
পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত শরিফুল ডেথ ওভারেও বোলিং করেন দারুণ। ১৫তম ওভারে যদিও দুটি চারের মারে দিয়ে ফেলেন ১১ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাত্র ২ রান নিয়ে উইকেটও আনেন তিনি। ফিরতি ক্যাচে ফেরান বেন মানেন্তিকে।
কানাডায় হার দিয়ে শুরু হয়েছে সাকিব-শরিফুলদের যাত্রা। অ্যাগার, টিম সেইফার্ট, দিলপ্রিত বাজওয়া ও মানেত্তির চল্লিশোর্ধ্ব ঝড়ো ইনিংসে মন্ট্রিয়ল টাইগার্স ৬ উইকেটে ১৮৯ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেললেও আর কেউ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে বাংলা টাইগার্স।
সাকিব ও শরিফুল দুজনেই সম্প্রতি কঠিন সময় পার করে কানাডায় পা রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে ব্যাট হাতে চারে নেমে ৪ ম্যাচে মাত্র ৬০ রান করেন সাকিব। লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে ১১.১০ ইকোনমিতে বোলিংয়ে পান মাত্র ১ উইকেট। শরিফুল এলপিএলে ১১.৬১ ইকোনমি ও ৩৭.৭৫ গড়ে বল করে শেষমেশ নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন বেঞ্চে।
৩৩ রানে হারা ম্যাচে এই দুজনে প্রতিপক্ষের জার্সিতে দেখতে পারতেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। কিন্তু মন্ট্রিয়লের বাংলাদেশি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভিসা জটিলতায় এখনও কানাডায় যেতে পারেননি।
Comments