২০২৩ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান শান্তর, উইকেট শরিফুলের

ছবি: এএফপি

কদিন পরেই শেষ হতে যাওয়া বছরের সবশেষ ওয়ানডেটি খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। আগের দিন নেপিয়ারে হওয়ায় সেই ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে তারা করেছে স্মরণীয় ফল। ১৬ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা। তবে শেষটা রঙিন হলেও সার্বিক বিচারে এই সংস্করণে ২০২৩ সালটা ভালো কাটেনি তাদের।

বাংলাদেশ অন্য দুই সংস্করণ অর্থাৎ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে ভালো খেলে, এই বাস্তবতা চলতি বছর পড়েছে প্রশ্নের মুখে। সব মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে তাদের জয় কেবল ১১টিতে। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা হেরেছে ১৮টি ম্যাচে। ফল আসেনি তিনটিতে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছে তারা, জিতেছে কেবল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বিদেশের মাটিতেও কেবল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে।

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছানো বাংলাদেশ ওই প্রতিযোগিতায় জেতে দুটি ম্যাচ। এরপর বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয় তাদের। বড় আশা নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে গিয়ে তারা হয় অষ্টম, জিততে পারে কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

দলীয় পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ক্রিকেটার দারুণ একটি বছর উপভোগ করেছেন। ২০২৩ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটার শান্ত ২৭ ম্যাচে ৪১.৩৩ গড়ে ও ৮৫.৮১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯৯২ রান। তার নামের পাশে আছে দুটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফসেঞ্চুরি। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ১৯ ম্যাচে ২৪.৮৭ গড়ে শিকার করেছেন ৩২ উইকেট। একবার ৪ উইকেট পেলেও কোনো ম্যাচে ফাইফার মেলেনি তার।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষ পাঁচের বাকি স্থানগুলোতে আছেন যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম (২৯ ম্যাচে ৩৬.৭৮ গড়ে ৮৪৬ রান), সাকিব আল হাসান (২৩ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৭৩৫ রান), তাওহিদ হৃদয় (২৭ ম্যাচে ৩৪.৬১ গড়ে ৭২৭ রান) ও লিটন দাস (২৯ ম্যাচে ২৬.০৪ গড়ে ৬৫১ রান)। তাছাড়া, অন্তত ১০ ম্যাচ খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় অবশ্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানো অভিজ্ঞ তারকা ১৪ ম্যাচে ৪২.৬৩ গড়ে করেছেন ৪৬৯ রান।

বাংলাদেশের উইকেটশিকারিদের তালিকার সেরা পাঁচের পরের স্থানগুলোতে রয়েছেন যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ (১৮ ম্যাচে ২৫.৩৪ গড়ে ২৬ উইকেট), মেহেদী হাসান মিরাজ (২৭ ম্যাচে ৪২.০৪ গড়ে ২৩ উইকেট), সাকিব (২৩ ম্যাচে ৩৫.৪৭ গড়ে ২৩ উইকেট) ও হাসান মাহমুদ (১৬ ম্যাচে ৩২.১৩ গড়ে ২২ উইকেট)। অন্যদিকে, অন্তত ১০ ওয়ানডে খেলা স্বীকৃত বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে গড় নাসুম আহমেদের। বাঁহাতি স্পিনার ১১ ম্যাচে ৬০.২৮ গড়ে পেয়েছেন ৭ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

7h ago