জিম্বাবুয়েকে আরেকবার হেসেখেলে হারিয়ে দিল ভারত

ছবি: এএফপি

পঞ্চম ম্যাচে নামার আগেই সিরিজের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচটি যেমন ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার, মাঠের খেলা তেমনই পানসে হলো। হেসেখেলেই ভারত জিতল ৪২ রানে। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য আরেকবার সুযোগ ছিল শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সিকান্দার রাজার দল ১৬৮ রানের লক্ষ্যে নেমে অলআউট হয়ে গেল ১২৫ রানেই। ৪-১ ব্যবধানে জিতেই তাই সিরিজ শেষ করল মূল তারকাদের ছাড়া গড়া শুবমান গিলের ভারত।

রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। সফরকারীদের প্রথম সাত ব্যাটারের প্রত্যেকেই দুই অঙ্কে পৌঁছান এরপর। যদিও মাত্র একজনই ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে পারেন। সঞ্জু স্যামসন খেলেন ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস। শেষের দিকে শিবাম দুবে ১২ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে এগিয়ে দেন ভারতকে।

লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি। ভারতীয় বোলাররা স্বাগতিকদের অলআউট করে দেন ১৮.৩ ওভারেই। রবি বিষ্ণোই বাদে সবাই উইকেট পেলেও সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মুকেশ কুমার। ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে এই ডানহাতি পেসার নেন ৪ উইকেট।

চলমান সিরিজে চতুর্থবারের মতো শুরুর দুই ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারে শূন্য রানেই ফিরে যান ওয়েসলি মাধেভেরে। মুকেশ নিজের পরের ওভারে এসে ফিরিয়ে দেন ১০ রান করা ব্রায়ান বেনেটকে। তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে ১৩ রানে বোল্ড করেছিলেন এই পেসার। কিন্তু হতাশ হন নো বলের সংকত দেখে। জিম্বাবুয়ের ওপেনারকে যদিও ২৪ বলে ২৭ রানে বিদায় করে দেয় ভারত।

এর আগে সব ম্যাচেই বিষ্ণোইয়ের দ্রুতগতির লেগস্পিনে ভুগেছে জিম্বাবুয়ে। এদিন পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান আনা দলটি চড়াও হয় বিষ্ণোইয়ের উপর। তার প্রথম ৯ বলেই ২০ রান এনে ফেললেও বাকি বোলাররা ডানা মেলতে দেননি তাদের। ১৩তম ওভারে ডিয়ন মায়ার্স যখন ৩২ বলে ৩৪ রান করে ফিরে যান, তখন জিম্বাবুয়ের রান ৮৫। পরের ওভারেই রাজার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

শর্ট ফাইন লেগ থেকে দুবের দুর্দান্ত ডিরেক্ট হিটে অধিনায়ককে রানআউটে কাটা পড়তে হয়। ১২ বলে ৮ রানে তিনি আউট হলে ৭ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট খুইয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ক্লাইভ মাদান্দে এক অঙ্কে ফিরে গেলে সাত উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৯৪। ৭৬ রানের ব্যবধান এরপর কমে ফারাজ আকরামের ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় গড়া ২৭ রানের ইনিংসে। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পরের বলেই যদিও জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায়।

এর আগে ম্যাচের প্রথম বলটাই সীমানা ছাড়িয়ে উড়ে যেতে দেখেন রাজা। নো হওয়ায় সেটি প্রথম বলও আর থাকেনি শেষমেশ। ফ্রি হিটেও যশস্বী জয়সওয়াল ছক্কা মারলে এক বলেই ভারতের স্কোর হয় ১৩ রান। কিন্তু ওই ওভারে বোল্ড হয়ে ৫ বলে ১২ রান করেই এই বাঁহাতি ফিরে যান। অভিষেক শর্মা ১১ বলে ১৪ রানের বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

আরেক ওপেনার গিলও তাদের পথ অনুসরণ করেন ১৩ রান করে। পঞ্চম ওভারেই তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে যখন ভারত, স্কোরবোর্ডে রান জমা হয়েছে ৪০। এই ম্যাচে একাদশে ফেরা রিয়ান পরাগকে নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন স্যামসন। তাদের ৬৫ রানের জুটি ভাঙে ২৪ বলে ২২ রান করে পরাগ আউট হয়ে গেলে। এই জুটিতে ৫৬ বল খরচ করে ফেলে ভারত। ৩৩ বলে ৪০ রানে থাকা স্যামসন এরপর আক্রমণে মনোযোগ দেন। ৩৯ বলে ফিফটি পেয়ে যাওয়ার পর থামেন ফিফটি পেরিয়ে। 

২১৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলে দুবে প্রাণ সঞ্চার করেন ভারতের ইনিংসে। রিঙ্কু সিং শেষের দিকে ৯ বলে অপরাজিত ১১ রান করতে পারেন। তবে ভারতের গড়া পুঁজিটাই আরও একবার যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে শেষমেশ। জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা জিম্বাবুয়ে লড়াইবিহীন হারে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ল তাই পরের টানা চার ম্যাচেই।

Comments

The Daily Star  | English

13 former BDR members walk out of jail after 16 years

Family members expressed overwhelming joy at the release, reuniting with their loved ones

25m ago