১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাই দেওয়ার রেকর্ড মাদান্দের

ছবি: আইসিসি

ক্যারিয়ারের অভিষেক টেস্টে এখন পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে ক্লাইভ মাদান্দের সঙ্গে, তিনি তা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন! জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটার সাদা পোশাকে নিজের প্রথম ইনিংসে আউট হন প্রথম বলে। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নেওয়ার পর গ্লাভস হাতেও সুবিধা করতে পারেননি। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ৪২টি বাই রান দিয়ে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডে।

শুক্রবার বেলফাস্টে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আয়ারল্যান্ড ৫৯ রান পায় অতিরিক্ত খাত থেকে। পাঁচটি লেগ বাই, তিনটি নো ও নয়টি ওয়াইড ছাড়া বাকি ৪২ রানই আসে বাই থেকে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে কোনো ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাই রানের রেকর্ড এটি। ফলে প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমেই মাদান্দে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন।

এই বিব্রতকর কীর্তির জন্য ২৪ বছর বয়সী মাদান্দেকে একা দায়ী করার উপায় নেই। তার ব্যর্থতার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের পেসারদের বোলিংও ছিল এলোমেলো। লেগ সাইডে পড়া অনেকগুলো ডেলিভারি সুইং করে মাদান্দের নাগালের বাইরে চলে যায়।

টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ বাইয়ের আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের ফ্রাঙ্ক উলির, যা টিকেছিল ৯০ বছর ধরে। ১৯৩৪ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৭টি বাই রান দিয়েছিলেন তিনি। তবে উলি নিয়মিত উইকেটরক্ষক ছিলেন না। প্রথম ইনিংসে লেস অ্যামেস চোট পাওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে গ্লাভস পরতে হয়েছিল তাকে।

এই তালিকায় যৌথভাবে তিনে থাকা দিনেশ কার্তিক ও ম্যাট প্রায়র অবশ্য মাদান্দের মতোই স্বীকৃত উইকেটরক্ষক। ভারতের কার্তিক ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দিয়েছিলেন ৩৫টি বাই রান। আর ২০০৯ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সমান সংখ্যক বাই এসেছিল ইংল্যান্ডের প্রায়রের গ্লাভসের আশাপাশ দিয়ে।

মাদান্দের দুঃস্বপ্নের দিনে আইরিশদের প্রথম ইনিংস থামে ২৫০ রানে। এর আগে জিম্বাবুয়ে ২১০ রানে অলআউট হওয়ায় স্বাগতিকদের মিলেছিল ৪০ রানের লিড। তবে সেটা ২৮ রানে নামিয়ে এনে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২ রান। জয়লর্ড গুম্বি ১৭ বলে ৭ ও প্রিন্স মাসভাউরে ৭ বলে ৪ রানে খেলছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago