জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে সুপার সিক্সে নেদারল্যান্ডস

নেপালের বিদায় ঘণ্টা বাজার আগে ছিটকে গেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
ছবি: টুইটার

ডানহাতি পেসার লোগান ভ্যান বিক বল হাতে তোপ দাগলেন। বাস ডি লিড ও বিক্রমজিত সিং তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ায় দেড়শ পেরিয়েই গুটিয়ে গেল নেপাল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেদারল্যান্ডসকে অনায়াস জয় পাইয়ে দিলেন ওপেনিংয়ে ঝড় তোলা ম্যাক্স ও'ডাউড। এতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সুপার সিক্স করল তারা।

ডাচদের জয়ে সুপার সিক্সে খেলার টিকিট পেয়েছে 'এ' গ্রুপের আরও দুটি দল। তারা হলো দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাছাইয়ের স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। নেপালের বিদায় ঘণ্টা বাজার আগে ছিটকে গেছে যুক্তরাষ্ট্রও।

শনিবার হারারেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নেপাল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে ৪৪.৩ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১৬৭ রানে। জবাবে ১৩৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় নেদারল্যান্ডস।

ভ্যান বিকের আঘাতে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার আসিফ শেখের উইকেট হারায় নেপাল। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ বলে ৩৯ রানের ধীরগতির জুটিতে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল ভুরতেল ও ভিম শারকি। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন বিক্রমজিত। পরপর দুই ওভারে তিনি সাজঘরে ফেরান ভুরতেল ও আরিফ শেখকে।

ভিমের বিদায়ের পর দলকে টানেন অধিনায়ক রোহিত পাউদেল। তবে রানের চাকায় দম দিতে পারেননি। ভ্যান বিককে পুল করতে গিয়ে বিক্রমজিতের তালুবন্দি হন তিনি। কুশল মাল্লা, দিপেন্দ্র সিং ও গুলসান ঝা দুই অঙ্কে পৌঁছে থামেন। নয়ে নামা সন্দিপ লামিছানের কল্যাণে দেড়শ পার হয় নেপাল। শেষ উইকেট হিসেবে তাকেও ঝুলিতে পোরেন ভ্যান বিক।

পাউদেল সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ৫৫ বলে। এছাড়া, লামিছানে ৩৩ বলে ২৭, ভুরতেল ৪২ বলে ২৭ ও ভিম ৫৬ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন। ভ্যান বিক ৯.৪ ওভারে মোটে ২৪ রা খরচায় পান ৪ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন বিক্রমজিত ও ডি লিড।

১৩ ওভারে ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের পথ তৈরি হয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের। সেখানে অগ্রণী ভূমিকা ছিল ডানহাতি ব্যাটার ও'ডাউডের। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। আরেক ওপেনার বিক্রমজিতের বিদায়ের পর ওয়েসলি বারেসিও টিকতে পারেননি।

তৃতীয় উইকেটে ডি লিডের সঙ্গে ৬৮ বলে ৬২ রান যোগ করে জয় মুঠোয় নিয়ে আসেন ও'ডাউড। তবে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি ক্রিজে। জয় থেকে দল ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। ও'ডাউড ৭৫ বলে খেলেন ৯০ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ৪ ছক্কা। এছাড়া, বিক্রমজিত ৪৩ বলে করেন ৩০ রান। তার মতোই অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো ডি লিড অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৪১ রানে।

Comments