ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বললেন সাকিব

তিন মাস-ছয় মাসের স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চান তিনি।
ছবি: এএফপি

বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স ভীষণ হতাশাজনক ছিল সাকিব আল হাসানের। তাই এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহল থেকে উঠেছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা করার সময় অবশিষ্ট নেই তার। বরং তিন মাস-ছয় মাসের স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চান।

বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে আবার যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাচ্ছেন সাকিব। সেখান মেজর ক্রিকেট লিগে (এমএলসি) লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন তিনি। দেশ ছাড়ার আগে মঙ্গলবার বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাকে মুখ খুলতে হয় ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও একজন খেলোয়াড় কখন অবসর নেবেন তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

৩৬ বছর বয়সী সাকিব হেসে বলেছেন, আপাতত বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর পর্যন্ত পরিকল্পনা রয়েছে তার, 'নিজেকে নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নেই। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে যে, দুইটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে। একটা হচ্ছে এমএলসি, যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। এরপরই থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ, যেটা কানাডাতে। পরপর এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলি, এরপর দেখি নিজের কী অবস্থা। এরপর তো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেটা আছে, পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ (আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে)। আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই।'

আসন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দুটি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে নিজের অবস্থাটা বুঝতে চাইছেন সাকিব, 'খুব বেশি আসলে পরিকল্পনা করিনি। নিজের বোঝার দরকার আছে। এখন আসলে ওরকম সময় নেই তিন বছর-চার বছরের পরিকল্পনা করার। আমার মনে হয় তিন মাস, ছয় মাসের পরিকল্পনা করাটাই ভালো। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে।'

নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকটিতে খেলা সাকিব সদ্যসমাপ্ত আসরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। সাত ইনিংসে তিনি ১৮.৫০ গড় ও ১০৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে করেন মাত্র ১১১ রান। এর মধ্যে ৬৪ রানই আসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। বল হাতেও সাকিব ছিলেন নিষ্প্রভ। উইকেট নিতে পারেন স্রেফ তিনটি। উইকেটশূন্য ছিলেন সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই।

Comments