ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে দলে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নাকভি

ব্যাটিং অলরাউন্ডার নাকভির জন্ম বেলজিয়ামে, বেড়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেটে থিতু হওয়ার আগে ছিলেন বাণিজ্যিক বিমানের লাইসেন্সধারী পাইলট।
ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

ভারতের বিপক্ষে আগামী জুলাই মাসে নিজেদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ে। সেজন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রয়েছে পরিবর্তনের ছড়াছড়ি। নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনেকেই পাননি সুযোগ। দলে নতুন মুখ আছে একটি। ডাক পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ব্যাটিং অলরাউন্ডার আন্তুম নাকভি।

সোমবার ১৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ২৫ বছর বয়সী নাকভি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তার মা-বাবা দুজনই পাকিস্তানের হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন বেলজিয়ামে। চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তাকে আবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাতে হয়েছিল। ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে সেখানে তিনি ছিলেন বাণিজ্যিক বিমানের লাইসেন্সধারী পাইলট।

ভারতের বিপক্ষে নাকভির খেলা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। জিম্বাবুয়ের নাগরিকত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটা মিলে গেলে আর কোনো বাধা থাকবে না। গত জানুয়ারিতে তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে আর কোনো ক্রিকেটারের ত্রিশতক নেই স্বীকৃত ক্রিকেটে।

সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ সফরে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। ওই স্কোয়াডে থাকা অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন, রায়ান বার্ল ও শন উইলিয়ামস বাদ পড়েছেন। ফেরানো হয়েছে ওয়েসলি মাধভেরে, ব্র্যান্ডন মাভুতা ও টেন্ডাই চাতারাকে। বরাবরের মতো নেতৃত্বে আছেন সিকান্দার রাজা।

আগামী ৬, ৭, ১০, ১৩ ও ১৪ জুলাই হারারেতে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ে। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ক্লান্তি ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এই সিরিজে সেরা তারকাদের রাখেনি ভারত। বিশ্ব আসরের স্কোয়াড থেকে আছেন শুধু সঞ্জু স্যামসন ও যশস্বী জয়সোয়াল।

জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড:

সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, টেন্ডাই চাতারা, লুক জঙ্গুয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ক্লাইভ মাদান্দে, ওয়েসলি মাধভেরে, টাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্র্যান্ডন মাভুতা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মেয়ার্স, আন্তুম নাকভি, রিচার্ড এনগারাভা, মিল্টন শুম্বা।

Comments