চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে নাখোশ ছিলো বাংলাদেশ দল

chandika hathurusingha and Zahid reza babu
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও যে অস্বস্তির কারণে ঠিক মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ তা হচ্ছে ব্যাটিং। ব্যাটাররা মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের বরং তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্নের জায়গা। তবে ব্যাটারদের আড়ষ্টতার পেছনে উইকেটের দায় দেখছে বাংলাদেশ দল, বিশেষ করে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যেমন উইকেট প্রত্যাশা করা হয়েছিলো মেলেনে তেমনটা।

সাধারণত চট্টগ্রামের উইকেট হয় ভালো, বড় রানের। এই চিন্তা থেকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচ রাখা হয়েছিলো এই ভেন্যুতে। যেসব ব্যাটার ছন্দহীনতায় ছিলেন তাদের রানে ফেরানোর চিন্তা ছিলো দলের। কিন্তু তা না হওয়ায় অস্বস্তি উল্টো বেড়েছে। দলের প্রধান দুই ব্যাটার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত বিশেষ করে ভুগেছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিলো ১৬৫। প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। তাদের ১২৪ ও ১৩৮ রান তাড়া করতে অবশ্য বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় ম্যাচে ১৬৫ করে ৯ রানে আসে জয়। তিন ম্যাচেই শুরুর দিকের ব্যাটিং ছিলো আড়ষ্টতায় ভরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির পর বেশ কিছুটা সময় কিউইরেটর জাহিদ রেজা বাবুর সঙ্গে কথা বলেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। উইকেট নিয়েই যে সে আলাপ ছিলো তা অনুমেয়।

মিরপুরে রোববার সিরিজ শেষে অধিনায়ক শান্ত একদম স্পষ্ট করেই বলছেন, চট্টগ্রামে প্রত্যাশিত উইকেট না পেয়েই মূলত ভুগেছে ব্যাটাররা, 'সাধারণত চট্টগ্রামে খুব ভালো উইকেট থাকে। এই বছর আমরা যখন এই পাঁচটা ম্যাচ খেললাম তিনটা ম্যাচ চট্টগ্রামে খেললাম। এটা হয়তো অনেকে বাইরে থেকে দেখলে মনে করবে চট্টগ্রামের উইকেটে রান হয় অনেক। কিন্তু এইবার আমরা যে তিনটা ম্যাচ খেলেছি নতুন বলে কঠিন ছিল ব্যাট করা। তার মধ্যে দুইটা ম্যাচে বৃষ্টির কারণে অন অ্যান্ড অফ, অন অ্যান্ড অফ ব্যাট করা লেগেছে। কাজেই মোমেন্টামটা ওইভাবে পাইনি। এইগুলো সব মনে হয়তে পারে অজুহাত।'

শান্ত মনে করেন উইকেট, প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ঠিকই তাদের ব্যাটাররা দিতে পারবেন সামর্থ্যের প্রমাণ। যেটা এই জিম্বাবুয়ে সিরিজে পুরোটা দেখ যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

India bans land import of jute, yarn from Bangladesh

India yesterday banned the imports of certain jute products and woven fabrics from Bangladesh through land ports.

13m ago