বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি উড়িয়ে শেষ ম্যাচ জিতল জিম্বাবুয়ে 

Brian Bennett & Sikandar Raza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজের বিচারে শেষ ম্যাচটার গুরুত্ব ততটা ছিলো না। বাংলাদেশের সামনে ছিলো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশন, তবে বিশ্বকাপের আগে মূলত ব্যাটিংয়ে যে অস্বস্তি তা তাড়ানোর ব্যাপার ছিলো বেশি। এবারও তা করতে পারল না নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে করা বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি ব্রায়ান বেনেট আর সিকান্দার রাজার ফিফটিতে অনায়াসে টপকে গেছে জিম্বাবুয়ে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের করা ১৫৭ রান তারা ৯ বল আগেই পেরিয়ে যায়। রান তাড়ায় দলের হয়ে ৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন রাজা। ওপেন করতে নেমে ৪৯ বলে ৭০ করেন বেনেট। এই ম্যাচ জিম্বাবুয়ে জিতলেও পাঁচ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। 

১৫৮ রান তাড়ায় দারুণ শুরু আনেন বেনেট। ৪ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন এই ডানহাতি। এরপর  উড়তে থাকেন। তৃতীয় ওভারে শেখ মেহেদীকে টানা তিন বলে দুই ছক্কা আর চারে  আনেন ১৬ রান। সাইফুদ্দিনের করা পরের ওভার থেকেও আসে ১৪ রান। ৪ ওভারে ৩৮ তুলে ফেলে সফরকারীরা।

পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে টাডিওয়নশে মারুমানি স্টাম্পিং হলে প্রথম উইকেট পড়ে জিম্বাবুয়ের। সেটা বড় ধাক্কা হয়নি কারণ দারুণ জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিতে থাকেব বেনেট-রাজা। রাজা থিতু হতে সময় নিয়েছেন, বেনেট ধরে রেখেছেন গতি। একজন পেসার কম নিয়ে খেলায় বাংলাদেশও তাদের উপর চাপ বাড়াতে পারেনি।  টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটির পরও বেনেট ছুটতে থাকেন। তার ঝাঁজে স্বাগতিক দলের সম্ভাবনা ক্রমশ মিইয়ে যায়। ৪৯ বলে ৫টি করে ছক্কা-চারে ৭০ করে বেনেট যখন সাইফুদ্দিনকে ক্যাচ দেন ততক্ষণে ম্যাঠ মুঠোয় জিম্বাবুয়ের।

অধিনায়ক রাজা পরে জোনাথন ক্যাম্পবেলকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন অনেকটা তুড়ি মেরে। পুরো সিরিজে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শেষ ম্যাচে ৬ চার, ৪ ছক্কায় করেন ৭২।

সকালে টস হেরে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা বাজে।  আগের ম্যাচে ঝলমলে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম এবার থিতুই হতে পারলেন না। ৫ বল খেলে ২ রান করে ক্যাচ দেন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। সৌম্য সরকার ব্রায়ান বেনেটকে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু করলেও টিকতে পারেননি। বেনেটের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ বলে ৭ রান করে।

চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচে দলকে জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখা তাওহিদ হৃদয় ঢাকায় এসে নিষ্প্রভ। আগের দিনের মতন এবারও রান পাননি। এবার বেনেটকে কাত করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। 

বিরূপ পরিস্থিতিতে চারে নেমে টানা তিন চারে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নড়বড়ে শুরু পাওয়া শান্তর সঙ্গে জমে উঠে তার জুটি। শান্ত সাবলীল না থাকলেও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট ছিলো সচল। দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে শেকল ছেড়ে বের হন শান্ত।

তবে এদিনও বড় রান পাওয়া হয়নি তার। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে এক ছক্কা মেরে পরে ক্যাচ দেন ডিপ মিড উইকেটে। ২৮ বলে থামেন ৩৬ করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পরে যোগ দিয়ে সাকিব আল হাসান যোগ করেন ৩৯ রান। তবে তাদের জুটি ছিলো তুলনামূলক মন্থর। ৩৯ রান আনতে তারা লাগান ৩৩ বল। ১৭ বলে ২১ করে লুক জঙ্গুইর শিকার সাকিব। এক পর্যায়ে ২০ বলে ৩১ থেকে মাহমুদউল্লাহ ৪৪ বলে থামেন ৫৪ করে।

শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের আলগা বোলিংয়ের সুবিধা তুলেন জাকের আলি। তার ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংসে দেড়শো পার করে বাংলাদেশ। ওই রান যে এখানে যথেষ্ট না তা বুঝিয়ে দেন বেনেট-রাজারা।

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

5h ago