মুশফিকের আউট নিয়ে বিতর্ক, সৌজন্য বিনিময় করল না প্রাইম ব্যাংক
ম্যাচ জিততে ৯৯ বলে তখন প্রাইম ব্যাংকের দরকার ১৫৬ রান। অমন সময়ে নাঈম হাসানের অফ স্পিনে স্লগ সুইপে উড়াতে গেলেন মুশফিকুর রহিম। ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন আবু হায়দার রনি। হতাশ মুশফিক মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে থাকেন। বিপত্তি বাধে খানিক পর।
মুশফিক মাঠ ছাড়ার আগে আটকান সতীর্থরা। বিসিবির ইউটিউভে লাইভ দেখে তারা বের করেন রনি ক্যাচ নেওয়ার সময় তার পা স্পর্শ করেছিল বাউন্ডারি লাইন। রিপ্লেতেও এমন দৃশ্যই দেখা যায়। তবে মাঠে আম্পায়ারের পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিলো না এটা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ইউটিউবে সীমিত ক্যামেরায় প্রচারিত হলেও টিভি আম্পায়ার নেই। কাজেই আম্পায়ারদের পক্ষে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিলো না।
প্রাইম ব্যাংক তর্ক করলেও লাভ হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১২ বলে ১০ রান করে ফিরে যেতে হয় মুশফিককে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ হারে ৩৩ রানে। আগে ব্যাট করে রনি তালুকদারের ১৪১ রানে ৩১৭ রান করে মোহামেডান। জবাবে ২৮৪ পর্যন্ত যেতে পারে প্রাইম ব্যাংক। দলের আরেক বড় তারকা তামিম ইকবাল ১৪ রান করে হন রান আউট।
তবে মুশফিকের আউটের রেশ রয়ে যায় ম্যাচ শেষেও। খেলার পর ড্রেসিংরুম থেকে আর বের হয়নি প্রাইম ব্যাংক। খেলা শেষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়রা মাঠে থাকলেও সৌজন্য বিনিময়ের জন্য আসেনি প্রাইম ব্যাংক।
এই ব্যাপারে রনি তালুকদার বলেন, 'আমরা তো মাঠেই ছিলাম। বাকিটা প্রাইম ব্যাংকের ব্যাপার। এটা উনাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।'
রনি তালুকদারের মতে থার্ড আম্পায়ারের সিষ্টেম না থাকায় মুশফিকের ওই ক্যাচের বেলায় ফিল্ডারের উপরই আস্থা রেখেছেন আম্পায়ার, 'সেটা তো (আবু হায়দার) রনিই ভালো জানে। কারণ রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যেই সিদ্ধান্তটা দেবে সেটার ওপরেই…কারণ এখানে তো ওইভাবে ক্যামেরা ছিল না। থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরেই যায়।'
Comments