প্রিমিয়ার লিগে এবার ‘সবচেয়ে বড় ইস্যু পেমেন্ট ইস্যু’

Dhaka Premier League 2025

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে লিটন দাস এখনো কোন দলে চুক্তিভুক্ত হননি। কিংবা কোন দল খুঁজে পাননি। বিস্ময়কর হলেও এখনো পর্যন্ত এটাই সত্য। তার কোন দল খোঁজে না পাওয়ার কারণ দেশের ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর। লিটন তার প্রত্যাশা অনুযায়ী পারশ্রমিক পাচ্ছে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। শুধু লিটন নন, গত আসরের থেকে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে চাইছে অর্ধেকেরও চেয়েও কম, কারো বেলায় সেটা আগেরবারের চেয়ে স্রেফ ৩০-৩৫ শতাংশ। দেশের একমাত্র লিস্ট-এ আসর প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে খেলোয়াড়দের কণ্ঠে ঝরল পারিশ্রমিক ইস্যু, প্রতিশ্রুত কম পারিশ্রমিকও সময়মত বুঝে পাওয়ার আকুতি তাদের।

সোমবার থেকে দেশের তিন ভেন্যুতে শুরু হবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের শীর্ষ আসর। তার আগে শনিবার ১২ দলের অধিনায়ক নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়েছে ট্রফি উন্মোচন।

সেই আয়োজনে ছিলেন তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। পারিশ্রমিক সম্পর্কিত নতুন বাস্তবতার সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা।

খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে এবার প্রিমিয়ার লিগে প্রায় সব ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এমনকি রূপগঞ্জ টাইগার্স, পারটেক্স এসব দলে স্রেফ ৫০ হাজার টাকায় খেলছেন কেউ কেউ। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত আসরে ৩০ লাখ পাওয়া ক্রিকেটার এবার পাচ্ছেন ৫ থেকে ৭ লাখ করে। 

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হতাশাজনক পারফর্ম করে আসা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটেও পড়েছে সংকটে। সেখানে ওয়ানডের ভিত হিসেবে আজ করা প্রিমিয়ার লিগের বেহাল দশা তৈরি করেছে নতুন চিন্তা।

তামিম ইকবাল (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব)

আমি সব সময় অনুভব করি প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট মেরুদন্ড। খেলা ভালো হোক, আম্পায়ারিং ভালো হোক, এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্লেয়ারদের পারিশ্রমিকের যেন নিশ্চয়তা থাকে। আমার তরফ থেকে আমার এতোটুকুই চাওয়া থাকবে। আমরা জানি আমাদের দেশের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। তবে সেটা যাই হোক না কেন সব দিক থেকেই খেলোয়াড়রা সাফার করছে বিপিএল বলেন আর প্রিমিয়ার লিগ বলেন। তবে আশা করবো যে প্রতিশ্রুতি ক্লাবগুলো করেছে, সেই অনুযায়ী যেন প্রত্যেকটা প্লেয়ার তাদের পারিশ্রমিক পায়, সেটিই হবে মূল প্রায়োরিটি। এর বাইরে চাইবো ক্রিকেটটা ভালো হোক, পাশাপাশি আম্পায়ারিং নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়, সেগুলো বোর্ড টেককেয়ার করুক। আমরা যেন ভালো ভাবে লিগটা শেষ করতে পারি। আবার বলবো আমার মূল প্রয়োরিটি হচ্ছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পুরোপুরি পরিশোধ করা।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (আবাহনী লিমিটেড)

আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং এই বছরটা। তামিম ভাই যেহেতু ম্যানশন করেছেন পেমেন্ট ইস্যুটা অনেক বড় একটা ইস্যু, এই কারণে আমরা অনেকগুলো খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারিনি এই বছর। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের রোমাঞ্চকর কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের নিয়ে আমরা সামনের দিকে যেতে পারবো এবং ভালো ফল করতে পারবো। তবে আমার কাছে মনে হয় ঢাকা লিগে সবচেয়ে বড় ইস্যু পেমেন্ট ইস্যু। খেলোয়াড়দের যে প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে, খেলোয়াড়রা ত্যাগ স্বীকার করে করে এমাউন্ট কম নিয়ে খেলছে। ওই এমাউন্টটা যেন ক্লাবগুলো পরিশোধ করে, প্লেয়াররা যেন পুরো পেমেন্টটা পায়।

এনামুল হক বিজয়  (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)

আশা করি এই বছরও চেষ্টা করবো দলের হয়ে অবদান রাখার, সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনার। গাজী একটা দারুণ নাম। যেটা গত অনেক বছর ধরে রাজত্ব করছে, ভালো ক্রিকেট খেলছে। আশা করি ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবো।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

27m ago