টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে আছেন স্টয়নিস
কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মার্কাস স্টয়নিস। তবে তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল বাছাইয়ে প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করেন এই অলরাউন্ডার। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার আকাঙ্ক্ষার কথা জোরালো করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন স্টয়নিস। এরপর ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় তার নাম দেখা যায়নি। পেস অলরাউন্ডার কোটায় দলটিতে লড়াইও তীব্র, আছেন ক্যামেরন গ্রিনের মতন তারকা। স্টয়নিসের পথটা তাই সহজ নয়।
যদিও আইপিএলে অনেক অজি তারকার বিবর্ণ সময়ে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন স্টয়নিস। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ২১১ রান তাড়ায় প্রায় একাই ম্যাচ বের করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে মোস্তাফিজুর রহমানদের পিটিয়ে ৬৩ বলে করেছেন অপরাজিত ১২৪ রান। অনুমিতভাবেই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
এরপরই এসেছে তার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা ও বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। স্টয়নিস জানান চুক্তিতে না থাকলেও পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই করে নেবেন তিনি, 'কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। চুক্তিতে নাম নেই তা বেশ কয়েকদিন আগেই জেনেছি। চুক্তি থাকবে চুক্তির জায়গায়। চুক্তিতে নাম না থাকলে কি দেশের হয়ে খেলা যাবে না? আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে আছি। চুক্তিতে নাম না থাকলেও বিশ্বকাপ খেলতে সমস্যা হবে না।'
এদিন রান তাড়ায় স্টয়নিসের সেঞ্চুরির পাশাপাশি নিকোলাস পুরানের ১৫ বলে ৩৪ ও দীপক হুডার ৬ বলে ১৭ রানের দুই ইনিংসও রাখে ভূমিকা। একা নায়ক হওয়ার প্রসঙ্গে আপত্তি তুলে এই দুই সতীর্থের নাম নিলেন অজি অলরাউন্ডার। 'শুরুতে গিয়েই মারতে গেলে ম্যাচ বের হতো না। পুরান আমাকে সাহায্য করেছে অমন ব্যাটিং করে। যেসব বোলারদের বিপক্ষে রান হচ্ছিলো না সে বের করেছে। হুডাও ভালো খেলেছে। আমি একা জেতাইনি, এটা সম্মিলিত প্রয়াসের জয়।'
ভারতের উইকেটগুলোর মধ্যে চেন্নাইর বাইশগজ তুলনামূলক মন্থর ঘরানার। এই মাঠেও ২১১ রান তাড়া হয়ে যাওয়া প্রমাণ দিচ্ছে কতটা রান বান্ধব হচ্ছে আইপিএল। তবে কিছু কারণে বিশ্বকাপে এমন হবে না বলে মত স্টয়নিসের, 'ইমপ্যাক্ট বদলির নিয়ম থাকার মানে দলে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান অথবা বোলার খেলাতে পারে। মোট ১২ জনে খেলা। এই নিয়মই এত রান উঠতে সাহায্য করছে। বিশ্বকাপে মনে হয় না এত রান উঠবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ মন্থর হয়। বল ব্যাটে বেশি আসে না। আইপিএলের পিচ অন্য রকম হয়।'
Comments