হার্দিকের তীব্র সমালোচনায় গাভাস্কার, পিটারসেন
আরও একবার হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব পড়ে গেল বড় প্রশ্নের মুখে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দল হারে মাঠের পারফরম্যান্সেও বিবর্ণ ছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক। বোলারদের ব্যবহার, বিকল্প পরিকল্পনা না থাকা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় পড়েছেন তিনি।
রোববার আইপিএলের বড় ম্যাচে মুম্বাইকে ২০ রানে হারায় চেন্নাই। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চেন্নাইর ২০৬ রান রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির পরও টপকাতে না পেরে ১৮৬ রানে আটকে যায় মুম্বাই।
বোলিং-ব্যাটিংয়ে হার্দিকের পারফরম্যান্স হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতন। বল হাতে ২ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে তিনি দেন ৪৩ রান। এরমধ্যে শেষ ওভারেই তিনি দেন ২৬ রান। যা ম্যাচের তফাৎ করে দেয়।
Kevin Pietersen and Sunil Gavaskar talking about Hardik Pandya's captaincy. pic.twitter.com/Ja8O8eEiJP
— Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra) April 15, 2024
চেন্নাই ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে ৬ রান (২ ওয়াইড, ১ চার) দিয়ে তিনি আউট করেন ড্যারেল মিচেলকে। এরপর মাহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে অসহায় হয়ে পড়েন হার্দিক। ভারতের সাবেক অধিনায়কের হাতে টানা তিন বলে হজম করেন ৩ ছয়। শেষ ৪ বলে ২০ রান নিয়ে চেন্নাইকে দুইশো ছাড়িয়ে নেন ধোনি।
স্টার স্পোর্টসের আলোচনায় সাবেক ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার গাভাস্কার কঠোর সমালোচনা করেন ওই ওভারের, 'এক ছক্কা ঠিকাছে, পরেরটা আবার লেন্থ বল যখন আপনি দেখছেন ব্যাটার লেন্থ বলের অপেক্ষা করছে মারার জন্য। তৃতীয় বলে আপনি আবার লেগ স্টাম্পে উপর ফুলটস দিলেন ছক্কার জন্য। একদমই সাধারণ মানের বোলিং, সাধারণ মানের অধিনায়কত্ব। আমি বিশ্বাস করি চেন্নাইকে ১৮৫ থেকে ১৯০ এর মধ্যে আটকে রাখা যেত।'
গাভাস্কারের কথা থামতেই উপস্থাপিকা মায়ান্তির কাছ থেকে কথা বলার সুযোগ পেয়ে শুরু করেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। একাদশে রেখেও লেগ স্পিনার শ্রেয়াস গোপালকে দিয়ে স্রেফ ১ ওভার বল করানো, বিকল্প পরিকল্পনা না থাকার সমালোচনা করেন তিনি, 'আমি দেখলাম অধিনায়কের প্লান 'এ' আছে শুধু, যেটা খেলার ৫ ঘন্টা আগে ঠিক হয়। তার প্লান 'বি' থাকা দরকার ছিলো। আপনার পেসাররা যখন ওভারে ২০ রান দিচ্ছে কীভাবে আপনি স্পিনার দিয়ে বল করান না? ব্রায়ান লারা ধারাভাষ্যে বলছিলেন, "আমরা কি দয়াকরে স্পিনারদের বল দিতে পারি।" খেলার গতি বদল করা দরকার ছিলো।'
মুম্বাইর মাঠে খেলা হলেও এদিন চেন্নাইর পক্ষে বিপুল মানুষকে সমর্থন করতে দেখা যায়। দুয়ো শুনতে হয় হার্দিককে। পিটারসেনের মতে গোটা পরিস্থিতি ভীষণ প্রভাব ফেলছে হার্দিকের উপর, 'টসের সময় দেখছিলাম হার্দিক অনেক বেশি হাসছে। বুঝাতে চাইছে সে সুখী। কিন্তু ও ঠিক নেই। আমি বলছি ও ঠিক নেই। এটা মুম্বইয়ের ঘরের মাঠ। সেখানে ওকে টিটকিরি দেওয়া হচ্ছে। এখানে গোটা মাঠ চেন্নাইয়ের জন্য চিৎকার করছে। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। ও তো মানুষ। ওর আবেগ আছে। আমি জানি এমন পরিস্থিতিতে কেমন লাগে। গাভাস্কারও জানেন। মায়ান্তিও জানে। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। সেটার প্রভাব পড়ছে হার্দিকের উপর।'
Comments