হারের পর মোস্তাফিজের প্রশংসা করলেন কার্তিক
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে অভিষেকটা স্মরণীয় হয়ে থাকল মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য। দলের শুভ সূচনায় বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে তিনি জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার আদায় করে নিলেন প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটার দীনেশ কার্তিকের প্রশংসাও।
শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। আইপিএলে পাঁচটি ভিন্ন দলের হয়ে খেলে এই প্রথম ৪ উইকেটের স্বাদ নেন তিনি। তার আগের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল ২০১৬ সালে। সেবার প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে গিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
মোস্তাফিজের জ্বলে ওঠার ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২০২৪ সালের আসর শুরু করেছে শিরোপাধারী চেন্নাই। ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৮ বল হাতে রেখে। রান তাড়ায় রাচিন রবীন্দ্র, আজিঙ্কা রাহানে, শিভাম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট হাতে কার্যকর ইনিংস খেললেও ম্যাচসেরা হন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ।
ম্যাচশেষে অভিজ্ঞ কার্তিক ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানান, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল না, 'এটা খুবই ভালো পিচ ছিল। আমরা মনে মনে ভেবেছিলাম যে চীপকের প্রথাগত ধীরগতির টার্নিং পিচের মতোই এটা হবে। সেটা হয়নি। বল অনেক বেশি স্কিড করছিল। এটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল।'
এমন পিচে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে তার কণ্ঠে, 'সে অনেক ভালো বল করেছে। যে জিনিসটা ব্যাটারের কাজ কঠিন করে দেয় তা হলো, সে ১৩৮-১৩৯ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এবং এরপর সে একটা স্লোয়ার দেয়। এটা খুবই বিভ্রান্তিকর। ১২০-১২৫ কিলোমিটার গতিতে সে কাটার করে। এতে তার বিপরীতে প্রস্তুত হওয়াটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। এটাই তার বিশেষত্ব। সে বিশ্বমানের বোলার।'
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজের প্রথম দুই ওভারে স্রেফ ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান মোস্তাফিজ। শেষ দুই ওভারে অবশ্য কিছুটা খরুচে বোলিং করেন তিনি। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেকে দ্বিতীয় সেরা বোলিং নৈপুণ্য এখন তার। শীর্ষে থাকা শাদাব জাকাতি ২০০৯ সালের আসরে তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ২৪ রানে।
Comments