মুম্বাইয়ে ‘হলুদ সতর্কতা’, মোস্তাফিজদের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা

দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে আজ বাঁচা মরার লড়াই। প্লে অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে আজ জিততেই হবে তাদের। তবে এমন মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। কারণ আরব সাগরের তীরবর্তী শহরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিরূপ। আবহাওয়া বিভাগ আগামী চার দিনের জন্য প্রবল বৃষ্টির  শঙ্কায় হলুদ সতর্কবার্তা জারি করেছে। এই অবস্থায় দিল্লির সহ-কর্ণধার পার্থ জিন্দাল ম্যাচটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

বুধবার রাতে মুম্বাইয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে হাই ভোল্টের ম্যাচ। যদি মুম্বাই এই ম্যাচ জেতে জেতে, তবে তারা প্লেঅফে চলে যাবে। যদি দিল্লি জেতে, তবে কোনো দলই নিশ্চিত হবে না, হিসেব ঝুলে থাকবে আরও। প্লেঅফ স্পটের জন্য লড়াই তাদের শেষ লীগ ম্যাচগুলোতে গড়াবে - এই ম্যাচের পর দুই দলেরই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে একটি করে খেলা বাকি আছে।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, তারা আইপিএল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো জিন্দালের একটি ই-মেইল হাতে পেয়েছে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন প্রতিকূল আবহাওয়ায় 'ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালও ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে'। কাজেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখনউ সুপার জায়ান্টের ম্যাচের মতন এই ম্যাচের ভেন্যুও বদল হোক, 'মুম্বাইয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং খেলা ভেস্তে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক যেমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং লিগের স্বার্থে আরসিবি বনাম লখনউ'র খেলা বেঙ্গালুরু থেকে সরানো হয়েছে, আমার অনুরোধ যে আগামীকালকের (আজকের) খেলাটিও অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হোক কারণ আমরা গত ৬ দিনের বেশি সময় ধরে জানি যে ২১ তারিখ মুম্বাইয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।'

খেলা ভেস্তে গেলে, দলগুলো পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে, যার ফলে তাদের শেষ ম্যাচের আগে মুম্বাই ১৫ এবং দিল্লি ১৪ পয়েন্টে থাকবে।

গোটা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি চলমান থাকায় আইপিএলের লিগ পর্বের বাকি সব ম্যাচে বাড়তি ১২০ মিনিট যোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায়

আইপিএল কর্তৃপক্ষকে মাঝপথে নিয়ম বদলে হতাশার কথা জানিয়ে ই-মেইল করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সিইও ভেঙ্কি মাইসুর। গত ১৭ মে আইপিএল পুনরায় শুরুর দিনই বেঙ্গালুরু-কলকাতা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় বিদায় নিতে হয় কলকাতাকে।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

13h ago