‘আপনারা তো মজা পেয়েছেন, আমি ভয় পাচ্ছিলাম’

Rishad Hossain
রিশাদ হোসেনের শট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পুরস্কার বিতরণী আয়োজন শেষ হওয়ার পর পরই সংবাদ সম্মেলনে ছুটে এলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তখন বেশিরভাগ সাংবাদিক ম্যাচ রিপোর্ট প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। খানিকটা অপেক্ষা করার ফাঁকে অনানুষ্ঠানিকভাবেই উঠল রিশাদ হোসেনের ইনিংসের প্রসঙ্গ।

রিশাদকে এত ছক্কা মারতে দেখে কেমন লাগছিল? জিজ্ঞেস করে হলে শান্ত বলছিলেন, 'আপনারা তো মজা পেয়েছেন, আমি ভয় পাচ্ছিলাম।' ভয় আসলে অমন মারতে গিয়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই যদি আউট হয়ে যান।

রিশাদ শেষ পর্যন্ত আউট হননি। ১৮ বলে ৪৮ রানের তাণ্ডবে দোলাচল উড়িয়ে ৫৮ বল আগেই শেষ করেছেন ম্যাচ। ২৩৬ রান তাড়ায় ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন রিশাদ।

তিনি দ্রুত আউট হলে তখন ম্যাচের প্রেক্ষাপট শ্রীলঙ্কার দিকে হেলে যেত। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ৪০তম ওভারে দুই ছক্কা তিন চারে ২৪ রান আনেন তিনি। হাসারাঙ্গার আগের ওভারেও দুই ছক্কা আরেক চার আসে তার ব্যাটে। রিশাদের অমন ঝড়ে ম্যাচের কোন সমীকরণেই আর থাকেনি শ্রীলঙ্কা।

মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার পর দল একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। তখন রিশাদকে নিজের ইচ্ছেমতোন খেলার নিশ্চয়তা দিয়ে পাঠানো হয় বলে জানান শান্ত,  'মিরাজের আউটের পর তো অবশ্যই ডাগআউট একটু চিন্তিত ছিল। কিন্তু রিশাদকে তেমন কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হয়নি।  ওকে বলা হয়েছিল ওর যেভাবে মন চায় সেভাবে যেন ব্যাট করে। স্বাভাবিক যে খেলা আছে ওটা যেন চালিয়ে যায়।' 

রিশাদ এদিন ব্যাট হাতে নায়ক হলেও তার মূল কাজ বোলিং। এদিন লেগ স্পিনে ৫১ রানে পান ১ উইকেট। এমন খেলোয়াড় দলে থাকা অধিনায়কের জন্য বিশেষ সুবিধার মনে করেন শান্ত,  'প্রথমে তো বোলিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেগ স্পিনার আমাদের নাই, ওর যদি শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে দেখা হয় আমার মনে হয় ভালো বোলিং করছে। সেইসঙ্গে ব্যাটিংটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেরকম ছিল সেখান থেকে আরও উন্নতি করেছে মনে হয়। তবুও অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ওটা নিয়ে কাজও করছে। অবশ্যই অনেক খুশি। এরকম খেলোয়াড় দলে থাকলে অবশ্যই অধিনায়কের জন্য অনেক সহজ হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago