সাইফুদ্দিনকে দলে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন শান্ত

Mohammad Saifuddin
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৫ উইকেট নিলেও হারল তার দল। ছবি: বিসিবি

বিপিএলের শুরুতে কোন আলোচনাতেই ছিলেন না মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। কিন্তু মাঝপথে টুর্নামেন্টে যোগ দিয়ে আলো ছড়িয়ে ফরচুন বরিশালের শিরোপা জেতায় রাখেন দারুণ প্রভাব। স্পিনার আলিস আল ইসলাম ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় সাইফুদ্দিনকে নেওয়া হতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলিসের বদলে ব্যাটার জাকের আলি অনিককে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

সোমবার থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়ে যায় বিপিএলের মাঝপথেও। তখনো সাইফুদ্দিন আলোচনায় ছিলেন না।

কিন্তু পরবর্তীতে টানা ৯ ম্যাচ খেলে তিনি ধরেন ১৫ শিকার। ডেথ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে বরিশালের হয়ে রাখেন অবদান। একই আসরে ফিনিশার হিসেবে ভালো খেলে জাকের আলি অনিক আগেই চলে আসেন বিবেচনায়।

আঙুলের চোটে আলিস ছিটকে যাওয়ায় শনিবার জাকেরকে স্কোয়াডে যুক্ত করেন নির্বাচকরা। দলের এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা ছিল অধিনায়ক শান্তর। রোববার সিলেটে অনুশীলনে আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক কারণ ব্যাখ্যা করেন এই বদলের, 'আমাদের পর্যাপ্ত স্পিনার আছে। রিশাদ খুব ভাল বল করেছে। ব্যাটার  জাকের আলিকে নেওয়ার কারণ আমার মনে হয়েছে দলে মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার। নির্বাচক, কোচ সবারই মনে হয়েছে আরেকটা মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার। সেই কারণেই জাকেরকে ইনক্লুড করা।'

বিপিএলের আগে পিঠের চোটে লম্বা সময় খেলার বাইরে ছিলেন সাইফুদ্দিন। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। চোট কাটিয়ে ফিরে বিপিএলে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তীব্রতা ভিন্ন। শান্ত জানান সাইফুদ্দিনকে নিয়ে তাই এখনি ঝুঁকি নিতে চায় না দল,  'সাইফুদ্দিনের ব্যাপার যেটা মনে হয় ইনজুরি থেকে আসার পর খুব ভালোভাবে ফিরেছে। তবে ইনজুরি থেকে আসার পর এরকম একটা সিরিজ খেলা আমাদের ফিজিও যারাই ছিলেন সবার মনে হয়েছে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আশা করছি এরকম (পারফরম্যান্স) চালিয়ে যাবে, সামনে ডিপিএল আছে। তাহলে সুযোগ থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago