বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে দ্যুতি ছড়ালেন তানজিদ তামিম
আগের ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতায় রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। বাঁচা-মরার লড়াইয়েও তানজিদ হাসান তামিম মেলে ধরলেন নিজেকে। এবার তিনি আরও দ্যুতিময়, আরও দাপুটে। চার-ছক্কার পসরায় এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ও তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই ওপেনার।
জেসন হোল্ডারের বলে ৫৮ বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে দুহাত উঁচিয়ে ধরেন তানজিদ। সেঞ্চুরিতে যেতে মারেন ৭টি করে চার-ছক্কা। ১৯তম ওভারে পরে আউট হয়েছেন ৬৫ বলে ১১৬ করে। যাতে আছে ৮টি করে চার-ছক্কা।
তার এই ইনিংস এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ইনিংস ব্যক্তিগত। বিপিএলে সব মিলিয়ে সেঞ্চুরি করা সপ্তম বাংলাদেশি ব্যাটার এখন তিনি। তানজিদের সেরা দিনে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরীস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৯২ রান করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তানজিদ ছাড়া টম ব্রুস অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৬ রানে, শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ৫ বলে ১০ আর শুভাগত হোম ৩ বলে অপরাজিত ৭ করলে দুইশোর কাছে চলে যায় দলীয় পুঁজি।
টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে দলের ৪ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিদায়ের পর সৈকত আলিকে এক পাশে রেখে দ্বিতীয় উইকেটে আনেন ৩৭ বলে ৫৬ রান। যাতে ২০ বলে ৩৬ রানই তানজিদের। সৈকত আউট হলে ব্রুসকে নিয়ে ছুটে চলেন তানজিদ। এবারও আগ্রাসী ছুটিতে অগ্রণী ভূমিকা বাঁহাতি ব্যাটারের। ৬১ বলে ১১০ রানের জুটিতে ৭৮ রানই তানজিদের।
এদিন ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই দলের ধরেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ব্যাটার। উইকেটের চারপাশ থেকে আসতে থাকে বড় শট। বিপিএলে এর আগেও ছক্কা মারায় নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়ে রেখেছিলেন। এবার পুরোটা নিজেকে মেলে ধরতে পারেন তিনি।
টুর্নামেন্টের শুরুটা জুতসই ছিলো না। তৃতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৪৯, পঞ্চম ম্যাচে গিয়ে পান ফিফটি। পরের দুই ম্যাচে রান খরায় একাদশে এক ম্যাচে জায়গা হারান। ফিরেই করেন ৪১ রান। মাঝে এক ম্যাচে ১৩ করার পর ৫১ বলে ৭০ করে দলের জেতার পুঁজি পাইয়ে দিতে রাখেন ভূমিকা।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে নয় ম্যাচের সবগুলোই খেলেছিলেন তানজিদ। মাত্র এক ফিফটি করায় তার সামর্থ্য নিয়ে উঠে প্রশ্ন। এবারের বিপিএলে নিশ্চিতভাবে নিজেকে প্রমাণের খেদ ছিল তার। সেটা করলেন দারুণভাবে।
Comments