বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড লিটন-তানজিদের
দ্বাদশ ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি করলেন শার্দুল ঠাকুর। ভারতের পেসারের বল ফ্লিক করে ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ডাবল নিলেন লিটন দাস। বাংলাদেশের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়াল বিনা উইকেটে ৭০ রান। এতেই গড়া হয়ে গেল নতুন রেকর্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি পেল টাইগাররা। আর এই কীর্তির পাশে লেখা হলো লিটন ও তানজিদ হাসান তামিমের নাম।
বৃহস্পতিবার পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্তকে শুরুতে যথার্থ প্রমাণ করেছেন দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদ।
বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৯। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জুটি গড়েছিলেন মেহরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ। ওই ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ। ২৪ বছরের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভাঙা পড়ল। মেহরাব-শাহরিয়ারের ৬৯ রানের জুটি এদিন ভারতের বিপক্ষে টপকে গেলেন লিটন ও তানজিদ।
ব্যাটিং-স্বর্গ হিসেবে পরিচিত পুনের উইকেটে ইনিংসের শুরুতে লিটন ও তানজিদ ছিলেন অতি সাবধানী। ভারতের দুই পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান। এরপর দেখা মেলে দুই ওপেনারের আক্রমণাত্মক মেজাজ। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন তারা।
ষষ্ঠ ওভারে সিরাজকে দুটি চার মেরে পাল্টা আক্রমণের শুরুটা করেন অভিজ্ঞ ডানহাতি ওপেনার লিটন। পরের ওভারে বুমরাহকে হুক করে ছক্কা হাঁকান তানজিদ। সিরাজ আক্রমণে ফিরলে তার ব্যাট থেকে আসে আরও দুটি চার। এরপর পরিবর্তন আসে ভারতের বোলিংয়ে।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা বল তুলে দেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে। বল ঠেকাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে হার্দিককে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন লিটন। দশম ওভারে আক্রমণে আসা পেসার শার্দুল ঠাকুরের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। টানা তিন বলে যথাক্রমে ছক্কা, চার ও ছক্কা হাঁকান তরুণ বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ।
লিটন-তানজিদের ৯৩ রানের রেকর্ড জুটি থামে পঞ্চদশ ওভারে। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবের শিকার হন তানজিদ। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডেতে এসে প্রথম ফিফটির স্বাদ নেন তিনি। ১১৮.৬০ স্ট্রাইক রেটে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ৪৩ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৫ চার ও ৩ ছক্কা।
Comments