সাকিব-শেখ মেহেদীর তাণ্ডবের পর তাহিরের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত খুলনা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসানের ঝড়ো ফিফটিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পেল রংপুর রাইডার্স। এরপর লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ৫ উইকেট শিকার করলে অনায়াসে খুলনা টাইগার্সকে হারাল তারা। টানা ষষ্ঠ জয়ে চলমান বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান মজবুত করল দলটি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে রংপুর। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের ৫ উইকেটে ২১৯ রানের জবাবে খুলনা ১০ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৪১ রানে।

গত কিছুদিন ধরে চোখের রেটিনার সমস্যায় ভুগতে থাকা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব ব্যাট হাতে খেলেন ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। মাত্র ৩১ বল মোকাবিলায় সমান ছয়টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পথে স্রেফ ২০ বলে ফিফটিতে পৌঁছান। বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে তার চেয়ে কম বলে হাফসেঞ্চুরি আছে আর একজনের। গত আসরে রনি তালুকদার ফিফটি করেন ১৯ বলে।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেন শেখ মেহেদী। ২৮ বলে ফিফটি স্পর্শের পর তিনি করেন ৩৬ বলে ৬০ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। সাকিবের সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৮ বল আসে ১০৯ রান। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।

উত্তাল ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও ভূমিকা রাখেন সাকিব ও শেখ মেহেদী। বাঁহাতি স্পিনে সাকিব ৩০ রানে নেন ২ উইকেট। অফ স্পিনে শেখ মেহেদী ১ উইকেট নিতে দেন ১৩ রান। তবে তাদেরকে ছাপিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার তাহির। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন ৫ উইকেট। এর আগে এবারের আসরে ফাইফার নিয়েছিলেন কেবল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি পেসার আমের জামাল।

গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলে উইকেট পেয়ে ইমরান তাহিদের উল্লাস। এবার এই দলটির বিপক্ষে চুক্তির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তার। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নামা খুলনার হয়ে লড়াই করেন কেবল অ্যালেক্স হেলস। ইংল্যান্ডের ওপেনারের আক্রমণাত্মক ইনিংসে আসে ৬০ রান। তিনি খেলেন ৩৩ বল। মারেন সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা। ১৪ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন তার স্বদেশি লুক উড। তার মূল দায়িত্বটা বল হাতে। সতীর্থদের খরুচে বোলিংয়ের ভিড়ে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। ৪ ওভারে তিনি ১৯ রানে পান ৩ উইকেট।

সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের ওপর দিয়ে। ৩ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তার ওপর চড়াও হয়ে সাকিব তিন ছক্কা ও দুই চারে আনেন ২৬ রান। ৪ ওভারে অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের খরচা ৫০ রান।

নয় ম্যাচে সবমিলিয়ে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে রংপুর। তারা বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার সেরা চারে থেকে প্লে-অফে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। অন্যদিকে, টানা চার জয়ের পর টানা চার হারের তেতো স্বাদ নিয়েছে খুলনা। আট ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP won’t tolerate extortionists, grabbers: Rizvi

Attempts are being made to create chaos in the society in the name of "mob culture", says the BNP leader

14m ago