‘আমাদের দেশের ব্যাটসম্যানরাও বড় ছয় মারে’

tawhid ridoy
বিশাল সব ছক্কায় মাতান তাওহিদ হৃদয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

'পেশি শক্তিতে পিছিয়ে তাই পাওয়ার হিটিংয়েও ঘাটতি।'- বাংলাদেশি ব্যাটারদের ছক্কা কম মারার কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বলা হয় এই কারণটি। এমনকি ক্রিকেটাররা নিজেরাও অনেক সময় পেশি শক্তির ঘাটতির কথা বলেছেন। তাওহিদ হৃদয় ৭ ছক্কায় সেঞ্চুরি করার পর শোনালেন ভিন্ন কথা। তার মতে বড় ছক্কা মারেন দেশের ব্যাটাররাও। ছক্কা মারতে কেবল পেশি শক্তির উপর ভর করার কোন প্রয়োজন নেই। 

শুক্রবার অবশ্য বড় বড় ছক্কা মেরে সেই প্রমাণ দিয়েছেন হৃদয়।  দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ৫৭ বলে ১০৮ রানের পথে হৃদয় মারেন ৭ ছক্কা। এই ৭ ছক্কার বেশিরভাগই বেশ বড়। ছোটখাটো গড়নের হৃদয়ের ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়দের মতন পেশি শক্তি নেই।

ম্যাচ শেষে হৃদয় জানালেন শুধু পেশি শক্তি যাদের আছে তারাই বড় ছয় মারে এমন নয়,  'ছয় মারতে শক্তি বা অনেক বড় বড় ক্রিকেটার বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের যারা আছে, ওরাই বড় ছয় মারে… (তা নয়)। আমাদের দেশের ব্যাটসম্যানরাও বড় ছয় মারে। যদি খেয়াল করে থাকেন, আমাদের প্রতিটি ব্যাটসম্যানই বড় বড় ছয় মারে।'

বিপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ছক্কা মেরেছেন হৃদয়, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তারচেয়ে বেশি ১৩টি করে ছক্কা মেরেছেন নাঈম শেখ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস।

হৃদয় মনে করেন ছক্কা মারা অনেকটা নির্ভর করে আত্মবিশ্বাসের উপর,  'আমি মনে করি, ছয় মারা খুব কঠিন কিছু নয়। প্রতিটি ক্রিকেটার ছয় মারতেই পারে, যারা ব্যাটসম্যান আছে। স্রেফ যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে যে কোনো মাঠে যে কোনো সময়ই হবে।'

এর আগে বিপিএলে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করা কোচরাও বলেছিলেন ছক্কার জন্য স্রেফ পেশির জোর নয়, টেকনিকের প্রখরতাও জরুরি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ব্যাটার হৃদয় বলছেন অভ্যস্ততাও একটা কারণ, ছক্কা মারার অভ্যাস গড়ে তোলা বেশি জরুরি,  'আমার কাছে মনে হয়, আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কম অভ্যস্ত। আমরা যখন আস্তে আস্তে আরও খেলতে থাকব, আরও যখন ম্যাচে এরকম ছয় মারব, প্রতিটি ব্যাটসম্যান যখন মারবে, যখন আত্মবিশ্বাসটা আসবে যে "আমি মারলে ছয় হবে, পাঁচটা ফিল্ডার বাইরে থাকলেও (সীমানায়) আমি মারলে ছয় হবে', এই বিশ্বাসটা পেলেই হবে।"'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

9m ago