টেস্ট না খেলার কারণ ব্যাখ্যা করে জানালেন তাসকিন

taskin ahmed

বিশ্বকাপের সময়ই কাঁধের চোট দেখা দিয়েছিল তাসকিন আহমেদের। চোট নিয়ে নিজেকে সামলে খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে এই চোট নিয়ে টেস্ট খেলার বাস্তবতা দেখছেন না ডানহাতি পেসার। বিসিবিকেও নিজের ইচ্ছা কয়েকদিন আগে জানিয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তিনি। এবার বিপিএলের ম্যাচ শেষে তার অবস্থা, টেস্ট থেকে সরে যাওয়ার কারণ বিস্তারিত জানালেন নিজের মুখে।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান তাসকিনের টেস্ট থেকে বিরতি চাওয়ার খবর। তবে তিনি কেবল শ্রীলঙ্কা সিরিজের দুই টেস্ট নাকি আরও পুরো টেস্ট থেকেই সরে যেতে চান তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিলো।

বুধবার রাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আরেকটি হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন এই ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার নেতৃত্ব দেওয়া তাসকিন। নিজের চোট ও টেস্ট থেকে বিরতি বিষয়ে প্রশ্নে ব্যাখ্যা করে নিজের পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি,   'আমার কাঁধে ৪৫ শতাংশ টিআর (পেশি ছিঁড়ে যাওয়া) ছিলো সর্বশেষ এমআরআই যখন করেছিলাম বিশ্বকাপের সময়। এখনো ম্যানেজ করে করে খেলতে হচ্ছে। আল্লাহ না করুক আরেকটু বড় টিআর হলে সার্জারি বাধ্যতামূলক। সার্জারি করলে আট মাস থেকে এক বছর বাইরে থাকা লাগবে। আবার ছন্দ কেমন হবে না হবে এটা অনেক কিছু বিষয় আছে। তাই আমি বোর্ডকে জানিয়েছিলাম যে আমাকে যদি টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরত রাখা যায় তাহলে যতদিন আমার কাঁধ ভালো রাখা যায়। যদি আগামীতে যদি উন্নতি হয় তাহলে চেষ্টা করব (টেস্ট খেলার)। এজন্য বলেছিলাম টেস্ট ক্রিকেট থেকে আমাকে যেন আপাতত বিবেচনা না করা হয়। কারণ এখানে মেডিকেল দল বা সবার কাছেই এভিডেন্স আছে, লুকানোর কিছু নাই।'

তাসকিনের কথার পরিষ্কার আভাস তিনি সাদা পোশাকে আর খেলতে চাইছেন না। চোটের বাস্তবতাই তাকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার পরিস্থিতিতে ফেলেছে।

বিপিএলের পর পরই তিন সংস্করণের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে খেললেও দুই টেস্টের সিরিজে যে তাকে দেখা যাবে না তা অনেকটা নিশ্চিত। বিসিবি অবশ্য কিছু আনুষ্ঠানিকতার জন্য এই পেসারকে অপেক্ষায় রেখেছে। তারা জানিয়েছে বিপিএলের টিম ম্যানেজমেন্ট বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের অভিষেক ভালো যায়নি তাসকিনের। আগে ব্যাট করে এক পর্যায়ে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৮১ রান থেকে কেবল ১২৪ রান করতে পারে ঢাকা। ওই রান তাড়ায় ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। সিলেট ম্যাচ জিতে ৫ উইকেটে।

এই হারের পর ৭ ম্যাচের ছয়টাই হারল ঢাকা। অন্যদিকে ৮ ম্যাচের মধ্যে ২ জয়ে ঢাকার থেকে একটু এগিয়ে থাকল আরেক তলানির দল সিলেট।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago