রেড ওয়াইন যত পুরোনো হয় ততই কিন্তু তা উৎকৃষ্ট: মিলার
কুড়ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন ডেভিড মিলার। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে পরিচিতি তার ছিলই। এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে সব সময়ই তিনি প্রভাব বিস্তারি ব্যাটার। তবে গত কয়েক বছরে তার প্রভাবের মাত্রা যেন অনেক বেড়েছে। বয়স ত্রিশের কোটা পার হওয়ার পর গড়, স্ট্রাইকরেট সবই বেড়েছে মিলারের। বিপিএল খেলতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার এই প্রসঙ্গে দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।
বয়স ৩০ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলে ১৪০.৩২ স্ট্রাইক রেট ও ৩০.০২ গড়ে ১ হাজার ২৯১ রান করেন মিলার। এরপর তিনি উড়তে থাকেন আরও প্রবলভাবে। ত্রিশের পর চার বছরের বেশি সময়ে ৪৬ ম্যাচ খেলে ৪০.৭০ গড় ও ১৫০.৫৩ স্ট্রাইক রেট রেখে করেন ৯৭৭ রান।
বয়স বাড়ার সঙ্গে খেলায় পড়তি ভাব না এসে তা যেন আরও বিকশিত হয়েছে তার। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই রহস্য জানতে চাওয়া হলে পুরনো ওয়াইনের প্রসঙ্গ টানেন প্রোটিয়া বাঁহাতি ব্যাটার, 'আমি জানি না এখানে কেউ পান করে কিনা (ওয়াইন)। কিন্তু ব্যাপারটা হল রেড ওয়াইন যত পুরোনো হয় ততই কিন্তু তা উৎকৃষ্ট। আপনার যত বয়স হবে আপনি অতীত থেকে শিখে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। অনেক ক্রিকেটারের মতোই আমরা খেলাটা সম্পর্কে সবকিছু জেনে থাকি না, সময়ের সঙ্গে শিখি। তো এর সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম থাকে এবং যতটা সম্ভব শিখতে থাকি।'
মিলার যেসব উইকেটে বড় রান করতে অভ্যস্ত, বিপিএলে তা পাওয়া কঠিন। এখানে কন্ডিশনের কারণে আগ্রাসী ব্যাটারদের মানিয়ে নেওয়া হয় চ্যালেঞ্জের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরুদ্ধ পরিস্থিতিও বুঝতে শিখেছেন বলে জানালেন ৩৪ পেরুনো ব্যাটার, 'যেমনটা আমি বলেছি, সময়ের সঙ্গে আপনি শিখবেন, নিজের খেলাটা ভালো বুঝবেন। টি-টোয়েন্টিতে সব খুব দ্রুত বদলায়, অনেক রকম পরিস্থিতিতে আপনি পড়তে পারেন। আমি ইনিংসের শুরু থেকে নিজের জন্য যেটা ভালো তার ওপর নির্ভর করি। কন্ডিশন বুঝি, রান রেট কত সেটা দেখি, নিজেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে দেখার চেষ্টা করি। কখনও এমন হয় যে মাত্র তিন ওভার বাকি, শুরু থেকেই হিট করতে হবে। তো পরিস্থিতি একেক রকম হয়, তো সেভাবে খেলতে হয়।'
সোমবার বিপিএলে খেলতে দেখা যাবে মিলারকে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
Comments